শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : সন্দীপ কি ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের শেষ কথা? এমন প্রশ্ন ওঠার পিছনে যথেষ্ট কারণ আছে। সন্দীপ ঘোষের (Sandeep Ghosh) বাড়ি থেকে CBI এমন কিছু নথি পেয়েছেন, তার পরে এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সিবিআইয়ের অভিযোগ, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে জমা পড়া একাধিক অভিযোগ পত্রের অরিজিনাল কপি (Original copy) উদ্ধার সন্দীপের বাড়ি থেকেই। সন্দীপের বিরুদ্ধে হওয়া অনুসন্ধান রিপোর্টের অরিজিনাল কপি সন্দীপের বাড়িতেই রাখা ছিল বলে অভিযোগ। এটাও কি সম্ভব?
{link}
সন্দীপ ঘোষের মাথায় কার আশীর্বাদের হাত ছিল যে, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগপত্র স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকারিকরা ভয়ে ডাঃ সন্দীপের কাছেই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন! এখানেই সিবিআইয়ের প্রশ্ন, যেখানে সন্দীপের বিরুদ্ধেই অভিযোগ জমা পড়েছিল সরকারি ভাবে, সেই সমস্ত অভিযোগের অরিজিনাল কপি থাকার কথা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। সেই চিঠিই আছে ডাঃ সন্দীপের বাড়িতে! তা আবার জেরক্স কপি নয়, একদম অরিজিনাল কপি! আর জি কর কাণ্ডের খলনায়ক এখন ডাঃ সন্দীপ। সারা বাংলা তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।
{link}
সোমবার রাতেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপরই তাঁকে সাসপেন্ড (suspend) করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (State Health Department)। সূত্রের খবর, সন্দীপের বিরুদ্ধে সাসপেনশন এনেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলও (Medical Council)। গত মঙ্গলবার সন্ধেয় এই সাসপেনশনের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ছাত্র ছাত্রীরা বার বার করে সন্দীপ ঘোষ সম্পর্কে অভিযোগ জানান। আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সন্দীপের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকা নয়ছয়, নির্মাণের জন্য আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগ-সহ একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন। আরজি করের দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তও (investigation) সিবিআইয়ের হাতে আসার পর সন্দীপ ঘোষ সহ একাধিক জনের বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত হয় একাধিক নথি। আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে, এমন মারাত্মক সব নথি।
{ads}