শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior doctors) প্রতিবাদ অবস্থানকালে চিকিৎসা না পেয়ে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। আর সরকারের গৌরী সেনের তহবিল থেকে তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এতে হয়তো জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরী হতে পারে,কিন্তু সত্য নিষ্ঠতা কি বজায় থাকলো।
{link}
তেমনই এক খবর সামনে এসেছে। মৃতদের তালিকাকে হাতিয়ার করে সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) হাসপাতালে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছে রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে মৃতের তালিকায় থাকা বাঁকুড়ার (Bankura) এক রোগীর পরিবার বলছে, হাসপাতালে মৃত্যু হয়নি তাদের রোগীর। নার্সিংহোমে (Nursing home) মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় ঠিকমতো পরিষেবা পেয়েছেন বলেও জানালেন ওই রোগীর পরিজনরা। ফলে মুখ পুড়লো সরকারের। সরকারের সত্য নিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেলো।
{link}
ঘটনা হলো, বাঁকুড়ার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা শিবু মালাকার পেশায় ছিলেন মুটে। অভাবের সংসার কোনওভাবে চলে। গত ১১ অগস্ট সিভিয়ার ব্রেইন স্ট্রোক (Brain stroke) হয় শিবুর। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে (Medical College)। সেখানে গত ১৬ অগস্ট পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন শিবু। চিকিৎসায় সাময়িক সুস্থ হয়ে ওঠায় তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি বাড়ি ফিরে যান। পরে ফের তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিকটবর্তী একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেই নার্সিংহোমেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ অগস্ট মৃত্যু হয় শিবুর। এদিকে সেই ২৯ জনের নামের তালিকায় শিবুর নাম আছে। ক্ষতিপূরণের টাকা এখনও তাঁরা পাননি বলে জানালেন। শিবুর স্ত্রী বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। সরকার যদি দেয়, তাহলে টাকা নেব।” একেই মনে হয় বলে, ভূতের রাজত্ব!
{ads}