দেবী আগমনের আর মাত্র একটি সপ্তাহ বাকি , তাঁর আগেই প্রশাসনিক দায়িত্ব ও কর্তব্যর ন্যায় এদিন সকাল বেলা দেশপ্রিয় পার্ক ,চেতলা অগ্রনী, সুরুচি সংঘ ,মোহাম্মদ আলী পার্ক ও কলেজ স্কোয়ার পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। এদিন তার সঙ্গে ছিলেন লালবাজারের অন্যান্য আধিকারিকরাও। এদিন সবাই মিলে এই সব কটি পূজামণ্ডপ ভালো করে ঘুরে দেখেন এবং খতিয়ে দেখেন এই সমস্ত পূজামণ্ডপগুলোতে সরকারি নির্দেশ না মানা হচ্ছে কিনা ।সমস্ত পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখে অনুজ শর্মা জানান এই সব কটি পুজো মণ্ডপ প্রত্যেকেই ভালো করে সরকারি গাইডলাইন মেনে কাজ করছে এবং তাদের পুজো মণ্ডপ গুলি সবদিক থেকে খোলা রয়েছে।রাজ্য সরকারের সমস্ত নিয়মাবিধি মানতেই হবে পুজা মণ্ডপ গুলিকে । করোনা সংক্রামণ থেকে রক্ষার তাগিদে এবং পুজা উপভোগ যথাযথ ভাবে পালনে দর্শনার্থীদের কথা ভেবে এই নিয়মাবিধি তৈরি করা হয়েছে । অন্যান্ন আধিকারিকরাও ছিলেন তাঁরাও মণ্ডপ প্রদক্ষিণ করেছেন সব জায়গাই খুব খতিয়ে দেখেন এবং সুরক্ষা কবচ খুব যত্ন সহকারে নজর রাখেন।প্রস্থান এবং প্রবেশ পথ উন্মুক্ত রাখা হচ্ছে ।যাতে কোনো কারণে পুজোমণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় হলে তাদের অতি সহজেই যেন সেখান থেকে বাইরে বার করা যায় ।তার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকছে। এছাড়া পূজা মন্ডপ এর মধ্যে স্যানিটাইজার এর ব্যবস্থা থাকছে। এমনকি পুজো মণ্ডপ গুলি থেকেও যারা মাস্ক পরবেন না তাদেরকে মাস্ক বিলি করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।এই পুজো মণ্ডপ গুলি দক্ষিণ কলকাতা এবং মধ্য কলকাতার সব থেকে বড় বড় পুজো মণ্ডপ। প্রতিবছর এই মণ্ডপগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় হয়। তাই এ বছর কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও যদি দর্শনার্থীদের ভিড় হয় তাহলে কিভাবে তারা দর্শনার্থীদের সামলাবেন সে বিষয়ে নানা উপায় বলে দিয়েছেন এদিন অনুজ শর্মা। পাশাপাশি তিনি মিডিয়াকে জানিয়েছেন তারাও জানো এই সময় সমস্ত রকম সুরক্ষা বিধি মেনে কাজ করেন এবং দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি জানিয়েছেন প্রত্যেক দর্শনার্থী যেন মাস্ক ব্যবহার করেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন। এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন ।তবেই এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ভালোভাবে পূজা মন্ডপ প্রবেশ করা যাবে।