header banner

'কলকাতা ও বাংলাই দেশকে পথ দেখাবে'- কেন্দ্রের লড়াইয়ে বাড়তি অক্সিজেন প্রাপ্তি মমতার

article banner

বিধানসভায় রাজ্যে গেরুয়া ঝড়ের হাওয়া ছত্রভঙ্গ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রাপ্তি। অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীর মত শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের একের পর এক জনসভাও পাল্টাতে পারেনি বাংলায় সবুজ শাসনের ছবি। তারপর আজ প্রকাশিত হচ্ছে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের ফলাফল। সেই পুরসভায় আসন জুটল বিধানসভার চেয়েও বেশি। এর পরেই তৃণমূল নেত্রীর দিল্লি জয়ের আশা ফের জোরালো হল বলেই মতামত রাজনৈতিক মহলের। খোদ দলনেত্রীই এ ব্যাপারে দলীয় কর্মীদের আশার আলো দেখিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন তৃণমূল কর্মীরা।

{link}
একুশে জুলাইয়ের সভা থেকে দিল্লি জয়ের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বপ্ন দেখার শুরু তারও ঢের আগে। ওই সভায় তিনি বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। পরে দিল্লি গিয়ে বিজেপি বিরোধী বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। আলাদা করে বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরার সঙ্গে। ওই বৈঠক থেকেই ফোনে কথা বলেন কংগ্রেস হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে। 


পরে অবশ্য কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব রচনা করতে থাকেন মমতা। এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন মমতা। মহারাষ্ট্র গিয়ে ফের একবার পাওয়ার ও শিবসেনার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে দুই দলই মমতাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন কংগ্রেস বাদ দিয়ে দানা বাঁধবে না আলাদা কোনও শক্তিশালী জোট। এর পর কংগ্রেস, এনসিপি সহ বিভিন্ন দলকে ভাঙাতে শুরু করে তৃণমূল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই জোরালো হতে থাকে তৃণমূল নেত্রীর দিল্লি জয়ের স্বপ্ন। কলকাতা পুরসভায় বিপুল জয়ের পর ফের সেই স্বপ্নই মাথাচাড়া দিয়েছে। এদিন মমতা বলেন, গণ উৎসবের মতো করে এই নির্বাচন হয়েছে। এটা গণতন্ত্রের জয়। উৎসবের মতো করে ভোট হয়েছে। গণ উৎসবে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। আমরা মা-মাটি-মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনারা যত আশীর্বাদ দেবেন, তত মাথা নত করে কাজ করব। এর পরেই তিনি বলেন, কলকাতা আমাদের গর্ব। বাংলা আমাদের গর্ব। কলকাতা ও বাংলাই দেশকে পথ দেখাবে। 

{link}
অর্থাৎ কলকাতা ও বাংলা ঠিক যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে জয়ের স্বাদ উপহার দিয়েছ, সেই একই স্বাদ কেন্দ্রেও লাভ করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য রাজনীতির মধ্যে যে বিস্তর ফারাক। কিন্তু এই জয় যে আসন্ন লড়াইয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তার দলকে বাড়তি অক্সিজেন প্রদান করবে সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। এখন দিল্লিতেও ঘাসফুলের পতাকা উত্তোলিত হয় কি না, তাই দেখার বিষয়। 
{ads}

news politics Kolkata Kolkata Corporation election KMC election results Mamata Banerjee Trinamool Congress West Bengal Delhi India রাজনীতি সংবাদ

Last Updated :