তথাগত ঘোষ: ইডেনে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পিচ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মহলে হয়েছিল বিস্তর সমালোচনা। কিন্তু, এবার পার্থ ছাপিয়ে গেল ইডেনকেও। মাত্র দুই দিনেই শেষ অ্যাসেজের প্রথম টেস্ট। গতকাল দিনের শেষে ম্যাচে চালকের আসনে ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু, দ্বিতীয় দিনে সম্পূর্ণ পাল্টে গেল সেই ছবি। অজিদের জয়ে স্টার্ক এবং বোল্যান্ডের মত বোলারদের কৃতিত্ব অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু, অস্ট্রেলিয়ার এই জয়ে কার্যত মূল ভূমিকায় উঠে এসেছেন ট্র্যাভিস হেড। যে পিচে কার্যত হিমশিম খেয়েছেন দুই দলেরই ব্যাটসম্যানরা, দ্বিতীয় ইনিংসে সেই পিচ কার্যত একাই শাসন করে গেলেন তিনি। তাঁর দূরন্ত সেঞ্চুরির সৌজন্যেই অনায়াসে জয়ের লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৮৩ বলে ১২৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি। এছাড়াও, অর্ধশতরান করেছেন লাবুশানে। দশ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন মিচেল স্টার্ক।
{link}
প্রসঙ্গত, গতকালই প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেট পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। শনিবার ১৩২ রানেই শেষ হয়ে যায় অজিদের প্রথম ইনিংস। ইংল্যান্ডের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ইতিবাচক হয়নি। নিজের প্রথম ওভারেই দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে জ্যাক ক্রলির উইকেট তুলে নেন মিচেল স্টার্ক। পরবর্তী সময়ে দুরন্ত লড়াই করেন ডাকেট ও পোপ। কিন্তু, পরবর্তীতে আর কেউ সেইভাবে ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। অধিকাংশ ব্যাটসম্যান সেইভাবে সম্মানজনক রানে পৌঁছাতে পারেননি। মাঝে ভালো ব্যাট করে যান অ্যাটকিনসন। ১৬৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। চার উইকেট পেয়েছেন বোল্যান্ড। অপরদিকে তিন উইকেট করে পেয়েছেন স্টার্ক, ব্রেন্ডন ডগেট। অস্ট্রেলিয়ার সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০৫ রান।
{link}
দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাকালামের স্ট্র্যাটেজিতেই তাঁর দলকে কুপোকাত করে দেয় অস্টেলিয়া। মাঠে সাদা বলের ওপেনার নামিয়ে দেয় অজিরা। ইঙ্গিত স্পষ্ট, অগ্রাসি ব্যাটিংইয়ে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেওয়া। আর এই স্ট্র্যাটেজিতেই ইংল্যান্ডকে ব্যাকফুটে নিয়ে যায় স্টিভ স্মিথের দল। যে ২২ গজে কার্যত রান করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ব্যাটসম্যানরা সেখানেই আগুন ঝরাতে শুরু করেন ট্র্যাভিস হেড। তাঁর মাত্র ৮৩ বলে ১২৩ রানের দাপুটে ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের রাস্তা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। বোলারদের দাপটের পর দ্বিতীয় দিনে এসে ঝোড়ো ব্যাটিং দেখলেন দর্শকরা। ট্রাভিস হেড কে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন জ্যাক ওয়েদার্ল্ড এবং মানাস লাবুশানে। একদিনে যখন তাঁরা পিচের অন্য প্রান্ত আগলে রেখেছেন তখনই মাঠে কার্যত ইংলিশ বোলারদের তুলোধনা করতে শুরু করেন হেড। অপরাজিত না থাকলেও দলের জয় নিশ্চিত করে দিয়ে যান তিনি।
{ads}