header banner

মেসির স্বপ্নপূরনের শেষ লড়াই, ৮৬-র পর ২২-এ কি ইতিহাস গড়তে পারবে আর্জেন্টিনা?

article banner

নিজস্ব সংবাদদাতা: সাল ২০১৪, সময় ১১৩ মিনিট, মারিও গোটজের শট ভঙ্গ করেছিল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। শেষবার ১৯৮৬-র বিশ্বকাপ। নিজের পায়ের জাদুতে মারাদোনা যে স্বপ্ন তার দেশবাসীর জন্য বাস্তবে পরিনত করেছিলেন, সেই স্বপ্ন তারপর আর বাস্তবের রূপ ধারন করেনি। ২০২০ সালে স্কালোনির কোচিং-এ মেসির আর্জিন্টিনা দীর্ঘ ট্রফির খরা কাটিয়ে জয়লাভ করে কোপা আমেরিকা। তারপর ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইতালিকে হারিয়ে ট্রফি ক্যাবিনেটে ওঠে ফিনালেসিমার খেতাবও। বর্তমানে মেসির আর্জেন্টিনা যে ফুটবল বিশ্বকে উপহার দিচ্ছে, তা এক কথায় অত্যাশ্চার্য।  ৭ বারের ব্যালন ডি ওর জয়ী মেসির ক্যাবিনেটে এই একটি ট্রফিই অধরা, বিশ্বকাপ। যা তার কাছে ব্যালন ডি ওর-এর থেকেও অনেক বেশি দামি। মেসির ও দলের সমর্থকদের স্বপ্নপূরনে মরিয়া নীল সাদা ব্রিগেড। আক্রমনভাগ, ডিফেন্স, মাঝামাঠ থেকে গোলকিপার, সমস্ত পজিশনেই দুরন্ত ছন্দে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা। ৮৬-র পর কি এবার ২২ হবে? সম্ভাবনা কতটা? দেখুন একনজরে


সম্পূর্ন স্কোয়াড:


গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), ফ্রাঙ্কো আরমানি (রিভার প্লেট) এবং জেরোনিমো রুলি (ভিলারিয়াল)

ডিফেন্ডার: গঞ্জালো মন্টিয়েল (সেভিলা), নাহুয়েল মোলিনা (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), জার্মান পেজেলা (রিয়াল বেটিস), ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো (টটেনহ্যাম হটস্পার), নিকোলাস ওটামেন্ডি (বেনফিকা), লিসান্দ্রো মার্টিনেজ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), হুয়ান ফয়েথ (ভিলারিয়াল), নিকোলাস তাগলিয়াফিকো(অলিম্পিক লিওনাইস), মার্কোস অ্যাকুনা (সেভিলা)

মিডফিল্ডারঃ লিয়েন্দ্রো পেরেদেস (জুভেন্টাস), গুইডো রদ্রিগেজ (রিয়াল বেটিস), এনজো ফার্নান্দেজ (বেনফিকা), রদ্রিগো ডি পল (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), এক্সকুয়েল প্যালাসিওস (বেয়ার লেভারকুসেন), আলেজান্দ্রো গোমেজ (সেভিলা), অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন)

ফরোয়ার্ড: পাওলো দিবালা (এএস রোমা), লিওনেল মেসি (প্যারিস সেন্ট জার্মান), অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া (জুভেন্টাস), অ্যাঞ্জেল কোরেয়া (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), থিয়াগো আলমাদা (আটলান্টা ইউনাইটেড), লাউতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান), জুলিয়ান আলভারেজ (ম্যানচেস্টার সিটি)

দলের শক্তি:
1. লিওনেল মেসি উপস্থিতি, বর্তমানের অন্যতম সেরা ফুটবলারের দলে উপস্থিত থাকা ও তার খেলা নিঃসন্দেহে স্কালোনির অন্যতম প্লাস পয়েন্ট
2. দলে বোঝাপড়া ও সংবদ্ধতা দলীয় শক্তিকে অনেকগুন বৃদ্ধি করেছে 
3. অপরাজিত দৌড়, বর্তমানে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা, যা স্পষ্টত বুঝিয়ে দেয় দলের আত্মবিশ্বাস ও বর্তমান ফর্ম কতোটা ভালো অবস্থায় রয়েছে 
4. আক্রমনভাগে দি মারিয়া, লাউতারো মার্টিনেজ-এর মতো দক্ষ খেলোয়াড়দের উপস্থিতি 
5. ডিফেন্সে দুরন্ত ফর্মে থাকা ওটামেন্ডি ও লিসান্দ্রো মার্টিনেজ অবশ্যই অন্যতম শক্ত ভীত। ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর মতো দাপুটে ডিফেন্ডারও বর্তমান রয়েছেন 
6. গোলে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ-এর উপস্থিতি 


দুর্বলতাঃ 
1. মাঝমাঠে আর্জেন্টিনার অন্যতম ভরসা লো সেলসোর চোটের কারনে বিশ্বকাপে অনুপস্থিতি 
2. দল নির্বাচন নিয়ে শেষ দিকে কিছু বিতর্ক দেখা দিয়েছে, তা খেলোয়াড়দের মনোভাবে প্রভাব ফেললে সেটি সমস্যা তৈরি করতে পারে 

 

{ads}

news Messi Argentina FIFA World Cup Qatar সংবাদ

Last Updated :

Related Article

Care and Cure 1

Latest Article