header banner

কাতারে রুদ্ধশ্বাস পরিসমাপ্তি, ৬ গোলের থ্রিলার শেষে টাইব্রেকারে বিশ্বজয় আর্জেন্টিনার

article banner

নিজস্ব সংবাদদাতা: ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ, চার বছরে একবার হয়। স্পোর্টসের ইভেন্টের ক্ষেত্রে যাকে বলা হয়, দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। কেন এই টুর্নামেন্টকে পৃথিবীর সেরা খেলার প্রতিযোগীতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়, তার আরও একটি প্রমান মিলল রবিবার। এহেন টানটান বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল এর আগে ক্রীড়াবিশ্ব দেখেনি। নির্ধারিত সময় ফ্রান্সের অপ্রত্যাশিত দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, তারপর এক্সট্রা টাইমে পুনরায় নাটক। সবশেষে টাইব্রেকারে এলো আর্জেন্টিনার বহু প্রতীক্ষিত জয়। জোড়া গোল মেসির, ফ্রান্সের পরাজয়েরও ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে ট্রাজিক নায়ক এমবাপে। তবে কাতারে ক্লাইম্যাক্স যে এতোটা টানটান হবে, তা৷ বোধহয় কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি। বেশ কয়েকবার একাধিক সমর্থকেত কার্যত হার্ট অ্যাটাকের পরিস্থিতি এসে গিয়েছিল। 

ম্যাচের শুরুতে প্রথমার্ধে সম্পূর্ণ খেলার দখল রেখেছিল আর্জেন্টিনা। চোট সারিয়ে মাঠে ফেরা ডি মারিয়া রাইট উইং-এ আগুন ঝরাতে শুরু করেন। ম্যাচের ২৩ মিনিটে এই ডি মারিয়া কে আটকাতে গিয়েই বস্কের মধ্যে ফাউল করে বসেন দেম্বেলে। ফলপ্রসূত পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। ফাইনালের মঞ্চে ম্যাচে প্রথম বারের মতো দল কে লিড এনে দেন তিনি। ৩৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি আসে প্রতি আক্রমনে। মাঝমাঠের কিনারা থেকে মেসির বাঁ পায়ের টোকা দেওয়া টো-টাচের বল নিয়ে সোজা বক্সের কাছে চলে যান টাগ্লিয়াফিকো। মেসির পাশেই কার্যত হকচকিত হতে পড়ে ফ্রান্সের রক্ষনভাগ। দি মারিয়ার কাছে যখন বল যায়, তখন তিনি ফ্রি স্পেশে সম্পূর্ণ একা। গোল করতে ভুল হয়নি তার। গোল করে আবেগপ্রবণ হতে কেঁদে ফেলেন খেলোয়াড়। 

{link}

দ্বিতীয়ার্ধেও আর্জেন্টিনা দাপট বজায় রাখলেও চমক আসে ৮০ মিনিটের মাথায়। ওটামেন্ডির করা ফাউল থেকে পেনাল্টিতে গোল করেন এমবাপে। তার এক মিনিট পার হওয়ার আগেই পুনরায় সেই এমবাপের গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে ফ্রান্স। মাত্র ১ মিনিটেরও কম সময়ের ব্যবধানে নিজেদের লিড হারিয়ে ফেলে আর্জেন্টিনা। 

এক্সট্রা টাইমের দ্বিতীয়ার্ধে, ১০৮ মিনিটে পুনরায় মেসি ম্যাজিক। তার গোলে ৩-২ স্কোরলাইনে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। শেষ মুহূর্তে সারা ম্যাচ জুড়ে দূরন্ত খেলা উপেমেকানো বল ক্লিয়ার দিলেও, ততক্ষনে তা গোল লাইন পেরিয়ে গেছে। এই গোলটিই হয়ত জয়সূচক গোল! এই ভেবে নিলেও ম্যাচ শেষের আগে ফের পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। এবারেও গোল করতে ভুল হয়নি এমবাপের। ফাইনালের মঞ্চে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন তিনি। খেলা শেষ হওয়ার একটি একটি নিশ্চিত গোল সেভ করেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ৷ একইভাবে ফ্রান্সের উপেমেকানোর পায়ে আটকে যায় আর্জেন্টিনার জয়ের চাবিকাঠি। শেষে পেনাল্টিতে ৪-২ গোলে জয়লাভ করে আর্জেন্টিনা। নায়ক হয়ে ওঠেন এমি মার্টিনেজ। ১৯৮৬-র পর ২০২২-এ বিশ্বকাপ ফিরল আর্জেন্টিনার দেশে। স্বপ্নপূরন মেসির! আর্জেন্টিনার জার্সিতে যুক্ত হল তৃতীয় স্টার। 

{ads}

News FIFA World Cup Champions Messi Argentina সংবাদ

Last Updated :