শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল চ্যাম্পিয়ান্স লিগে ছিল হাইভোল্টেজ নাইট। ভারতীয় সময় মধ্যরাতে একসঙ্গে দুটি বড় খেলা। একদিকে বায়ার্নের মুখোমুখি বর্তমানে এই প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ান দল পিএসজি। অপরদিকে অ্যানফিল্ডে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল। যদিও, রিয়াল ও লিভারপুলের ম্যাচটিকে ঘিরেই উত্তেজনা ছিল বেশি। শুরু থেকেই দুই দলের মধ্যে মাঠে কঠিন লড়াই শুরু হয়। বিপক্ষের মাঠে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। অপরদিকে, লিভারপুলের সামনে ছিল টানা পাঁচ ম্যাচে পরাজয়ের ধাক্কা সামলে জয়ে ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ। ম্যাচ শেষে ঘরের মাঠে জয়ের হাঁসি দেখা গিয়েছে লিভারপুল খেলোয়াড়দের মুখে।
প্রথমার্ধের খেলা প্রথম নাটকীয় মোড় নেয় রেফারি রিয়ালের বক্সের ঠিক বাইরে হ্যান্ডবলের জন্য বাঁশি বাজালে। পরবর্তীতে ভিএআর –এর চোখে পড়ে রিয়ালের প্লেয়ার চুয়ামেনির হাতে বল লেগেছে বক্সের ভিতরে। তিনি বিষয়টিকে রেফারির কানে পৌঁছে দেন। যদিও, সমস্ত বিষয় যাচাই করার পর রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি। ফলে, সেই যাত্রায় রক্ষা পায় রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমার্ধের শেষে খেলা গোলশূন্যই থেকে যায়।
এদিন ম্যাচে নজরকাড়া পারফর্ম্যান্স দিয়েছেন লস ব্ল্যাঙ্কোসদের গোলরক্ষক থিবট কুর্তোয়াস। তিনি না থাকলে খেলার ফলাফলে বড় ব্যবধান লক্ষ্যণীয় হতে পারত। একাধিক দুরন্ত গোলমুখী শট দক্ষতার সঙ্গে বাঁচিয়ে দিয়েছেন কুর্তোয়া। তবে, আটকানো যায়নি লিভারপুলের মিডফিল্ডার ম্যাক অ্যালিস্টারের হেড। ৬১ মিনিটের মাথায় আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়ের করা গোলই এদিন লিভারপুলকে জয় এনে দিয়েছে। ৯০ মিনিটের শেষে খেলার ফলাফল ১-০ থেকে গিয়েছে।
{link}
এদিন দল পরিবর্তনের পর প্রথমবার নিজের পুরানো ক্লাবের ঘরের মাঠে ফিরেছিলেন ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নোল্ড। সেই কারণেই, রেডসদের গড়ে তীব্র কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে এই খেলোয়াড়কে। ম্যাচের শুরু থেকে তাকে মাঠেও নামাননি কোচ জাভি আলোন্সো। পরিবর্ত হিসাবে সাদা জার্সি গায়ে চাপিয়ে অ্যানফিল্ডে নামেন তিনি।
ক্রীড়া বিশেষজ্ঞদের মতে, টানা পাঁচ ম্যাচ পরাজয়ের পর, চ্যাম্পিয়ান্স লিগে এই ধরনের হেভিওয়েট দলের বিরুদ্ধে জয় লিভারপুলকে আগামী দিনের জন্য বাড়তি অক্সিজেন প্রদান করবে। প্রিমিয়ার লিগে ইতিমধ্যেই চ্যাম্পিয়ানশিপের দৌড়ে বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে ক্লাবটি। তবে, তাদের নতুনভাবে অনুপ্রেরণা প্রদান করবে এই জয়। বিশেষ করে ভ্যান ডাইকের উপস্থিতিতে টিমের কড়া ডিফেন্স মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগ কে আরও মজবুত হতে সাহায্য করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
{ads}