header banner

ডেবিউ ম্যাচেই হ্যাটট্রিক, সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬-১ গোলের জয়ে পর্তুগালের নায়ক র‍্যামোস

article banner

নিজস্ব সংবাদদাতা: গঞ্জালো র‍্যামোস, ২১ বছর বয়সের এই যুবকের মধ্যে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর পর এক নতুন নায়ক কে খুঁজে পেয়েছেন পর্তুগাল সমর্থকেরা। এই গঞ্জালো র‍্যামোস নামক তরুন এই যুব প্রতিভাই সারা বিশ্বকে কার্যত চমকে দিলেন ৭ই ডিসেম্বর কাতারের মঞ্চে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে পর্তুগালের হয়ে শেষ ১৬-র খেলায়। এইদিনেই পর্তুগালের হয়ে ডেবিউ করেছেন তিনি, আর ডেবিউ ম্যাচেই করে ফেলেছেন কাতারের মঞ্চের প্রথম হ্যাটট্রিক। তার তিনটি গোলের সৌজন্যেই সুইজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলের বড়ো ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের স্থান দখল করেছে পর্তুগাল। 

গ্রুপ পর্বের খেলায় ব্রাজিলের বিরুদ্ধে দুরন্ত লড়াইয়ের পর মাত্র ১-০ গোলে হেরেছিল সুইজারল্যান্ড। শেষ ইউরো কাপে এই সুইজারল্যান্ডই আটকে দিয়েছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে। কার্যত সেই কারনেই সুইজারল্যান্ডকে বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ ভাবেই পর্তুগালের বিরুদ্ধে রেখেছিল বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু শেষ ম্যাচে কোরিয়া রিপাবলিকের কাছে যে পর্তুগাল পরাজিত হয়েছিল, আজ সেই পর্তুগালই কার্যত অন্য রূপে। ম্যাচের স্টার, গঞ্জালো র‍্যামোসের পা থেকেই আসে প্রথম গোল। থ্রো-ইন থেকে জোয়াও ফেলিস্কের বাড়ানো বল, একদম টাইট অ্যাঙ্গেল থেকে অবিশ্বাস্য শটে জড়িয়ে দেন জালে। গোলটি এতোটাই চমকপ্রদ ছিল যে, বিশ্বাস করতে বেগ পেতে হচ্ছিল ধারাভাষ্যকারদেরও। বলটি কার্যত খেয়ালই করতে পারেননি সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। ৩৩ মিনিটে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন ৩৯ বছর বয়সি পর্তুগীজ ডিফেন্ডার পেপে। কর্নার থেকে ব্রুনো ফার্নান্ডেজের বাড়ানো বল দুরন্ত লাফ মেরে দক্ষ হেড দিয়ে পার করে দেন গোল লাইন। প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-০ স্কোরলাইনেই। 

{link}

দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট পার হতে না হতেই পুনরায় গোল করেন গঞ্জালো র‍্যামোস। ক্রসে আসা বল সুযোগ সন্ধানী স্ট্রাইকারের মতো পা ঠেকিয়ে পরাস্ত করেন ইয়ান সোমার কে। ম্যাচের চতুর্থ গোল করেন গুয়েরেরো। এই গোলটি আসে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে। ৫৮ মিনিটে কর্নার থেকে সুইজারল্যান্ডের হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন অ্যাকেঞ্জি। কিন্তু সুইস ফ্যানেদের আশার আলোয় ৬৭ মিনিটে জল ঢেলে দেন সেই গঞ্জালো র‍্যামোস। সুইজারল্যান্ডের বাড়ানো একটি লং বল থেকে ইন্টারসেপট করে সেই ফেলিক্স র‍্যামোসকে লক্ষ্য করে ফরোয়ার্ড বল বাড়ান। নিখুঁত চিপে গোলরক্ষক সোমার কে টপকে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন র‍্যামোস। ৯০ মিনিট পার হয়ে যাওয়ার পর অতিরিক্ত ২ মিনিটের মাথায় সুইসদের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন পরিবর্ত হিসেবে নামা রাফায়েল লিয়াও। বক্সের সামান্য ভিতর ঢুকে কাট করে বাঁ পায়ের দুরন্ত শটে গোল করেন তিনি। খেলা শেষ হয় ৬-১ গোলে জয়ের বিরাট ফলাফল দিয়ে। 

তবে পর্তুগালের এই জয়ের পিছনে সমর্থকদের নয়নের মনি হয়ে উঠেছেন ২১ বছর বয়সি এই যুব প্রতিভা রাফায়েল লিয়াও। এই ম্যাচটি স্মরনীয় হয়ে থাকবে তার নামেই। আজ মাঠে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ছিলেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। পরিবর্ত হিসেবে ৭৩ মিনিটে জোয়াও ফেলিক্সের যায়গায় মাঠে আসেন তিনি। তার সাইডলাইনে আসার পরেই গর্জন শোনা যায় সমর্থকদের গ্যালারি জুড়ে। মাঠে বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে ফেলেছিলেন তিনি। তবে রোনাল্ডোর নামের নিচে গোল না থাকলেও বড়ো ব্যবধানে জয় দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল তার পর্তুগাল। সামনে প্রতিপক্ষ স্পেন কে পরাজিত করে ইতিহাস গড়া মরোক্ক। 

{ads}

News football Sports FIFA World Cup Portugal Gonsalo Ramos সংবাদ

Last Updated :