header banner

অশ্লীল নৃত্য বন্ধ করতে গিয়ে খেঁজুরিতে আক্রান্ত পুলিশ, আহত ১৩, গ্রেফতার ৬

article banner

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর: কালীপূজা উপলক্ষে একটি ক্লাবে গভীর রাত পর্ষন্ত চলছিল অশ্লীল নৃত্য! স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সেই অশ্লীল নৃত্য বন্ধ করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ল খোদ পুলিশ। বন্ধ করতে গিয়ে গুরুতর জখম হলেন পুলিশ অফিসার, কর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ ১৩ জন। কার্যত অগ্নিগর্ভ চেহারা নেয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি বিধানসভার হলুদবাড়ী অঞ্চলের কার্তিকখালি গ্রাম। পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ পুলিশ ক্লাবের কার্যকর্তা সহ অশ্লীল নৃত্যের কর্ণধার ৭ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পাশাপাশি ৬ অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করে নাবালিকাকে আটক করেন। আহত তিনজন পুলিশ অফিসার,পুলিশ কর্মী  সহ সিভিক ভলেন্টিয়ার ১০ জনকে খেজুরি জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে খেজুরি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা রুজু করা হয়। এরপর ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা হল ক্লাবের কার্যকর্তা খেজুরির কার্তিকখালি গ্রামের ধর্ম মণ্ডল,  গোপাল মানিক ও দেবাশীষ মণ্ডল। বাকী চারজন নদীয়া জেলার সুভাষনগর এলাকায় অরূপ সরকার, শুভঙ্কর সরকার,  সুব্রত বিশ্বাস ও রাজা হালদার!  সোমবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি  ৬ জন উদ্ধার নাবালিকাকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন কাঁথি আদালতের বিচারক।  

{link}
সূত্রের খবর,  পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি হলুদবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্ওিকখালি গ্রামের নিউ তরুণ সংঘের কালীপুজা লক্ষ্যে রবিবার রাতে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গভীর রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অশ্লীল নৃত্যতে পরিণত হয়। প্রকাশ্য মঞ্চে নদীয়া জেলা থেকে আসা ১০ জনের ৬ জন নাবালিকাকে নিয়ে অশ্লীল নৃত্য শুরু হয়। বাসিন্দাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে  হাজির হয় খেজুরি থানার পুলিশ বাহিনী। দ্রুত আয়োজকদের অশ্লীল নৃত্য বন্ধের জন্য অনুরোধ করেন খেজুরি থানার পুলিশ। কিন্তু অশ্লীল নৃত্যের বন্ধের পরিবর্তে তখন পুলিশের উপর চড়াও হয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশ কর্মীদের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়। গুরুতর জখম হন তিন পুলিশ অফিসার, পুলিশ কর্মী সহ ১৩ জন সিভিক ভলেন্টিয়ার।  পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় খেজুরি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর তারা সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ৬ জন নাবালিকা,  ক্লাবের কার্যকর্তা সহ ১৩ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। গুরুতর জখম তিন পুলিশ অফিসার, পুলিশ কর্মী সহ ১০  জন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে খেজুরি জনকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা রুজু করা হয়।

{link} 
কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন " অশ্লীল নৃত্য বন্ধ করতে পুলিশ বাহিনী ছুটে যায়। তখনই পুলিশ কর্মীদের উপর প্রাণঘাতী হামলা হয়। ৬ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে ও ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ অফিসার সহ বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে” ধৃতদের উপর ভারতীয় দণ্ডবিধির পুলিশের উপর প্রাণঘাতী হামলা, মারধর, পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। 
{ads}

news Midnapur Obscene dance Kjejuri West Bengal সংবাদ

Last Updated :