সুদেষ্ণা মন্ডল, কুলতলি: ফোন করে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল। তা পেলে, তবেই ছাড়া পেতেন ব্যবসায়ী। তারপর থেকেই ফোন সুইচড অফ । অবশেষে ২২ দিন পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির নিখোঁজ ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ । নিখোঁজ ব্যবসায়ী বিজয়কৃষ্ণ কয়ালের বাবা শ্যামাপদ কয়াল জানান, গত মে মাসের ১৭ তারিখ রাত দশটা নাগাদ বিজয় কৃষ্ণের ফোন থেকে ফোন করেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি জানান, ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে তাঁদের, আর তা দিলে তবেই বিজয়কৃষ্ণ বাড়ি ফিরবে। পুলিশ প্রশাসনকে কোনও ভাবেই যেন না জানানো হয় বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় সেই রাতে । তারপর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় ছেলের ফোন। বৃহস্পতিবার কুলতলির পালের চক এলাকার একটি বাগান থেকে মাটি খুঁড়ে অপহৃত ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
{link}
এই ঘটনায় তন্ময় মন্ডল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে কুলতলী থানার পুলিশ। ওই দিন রাতেই কুলতলি থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয় অপহৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে। বিজয় কৃষ্ণের বাবা শ্যামাপদ কয়ালের দাবি, তাঁর ছেলেকে হয়তো কোনও ভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল । এদিন মৃতদের উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ বলেন, ঘটনার পর থেকেই আমরা তদন্ত শুরু করে পুলিশ । তদন্তে নেমে তন্ময় মন্ডল নামে একজনকে গ্রেফতার কার হয় । তন্ময় মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ব্যবসায়ীকে খুন করে নিজের বাগানের জমিতে পুঁতে রেখেছিল তন্ময় । অবশেষে ধৃতের বয়ান অনুযায়ী মাটি খুড়ে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সম্পূর্ণ ঘটনা ব্যবসায়িক লেনদেন নাকি অন্য কোন শত্রুতা জেরে তা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানান , এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছিল বেশ কয়েকদিন আগে । এদিন হঠাৎ পুলিশ এসে একটি জমিতে মাটি খোঁড়া শুরু করে । এই খবর চাউর হতেই মুহূর্তের মধ্যে গ্রামবাসীরা হাজির হয় এলাকায় । মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় ব্যবসায়ী মৃতদেহ। স্থানীয়দের দাবি এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাক।
{ads}