শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : ঐতিহ্যবাহী বারুইপুরের (Baruipur) প্রায় ৩৫০ বছর পুরনো রথের দড়িতে টান। বারুইপুরের ঐতিহ্যবাহী জমিদার পরিবার হলেও রায়চৌধুরী পরিবার আর এই রায়চৌধুরী পরিবারের আজ থেকে প্রায় ৩৫০ বছর আগে জমিদার রাজবল্লভ রায়চৌধুরীর হাত ধরে রথযাত্রার (Ratha Yatra) সূচনা হয়। বারুইপুরের জমিদার রায়চৌধুরীদের বাড়িতে হয়ে আসছে এই রথ। রথ উপলক্ষে এখানে বসে মেলা। প্রায় একমাস ধরে চলে এই রথের মেলা। পুরির রথের উৎসবে সামিল হতে পারতেন না তৎকালীন দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষজন। আর সেই কারণে তাঁদেরকে রথের আনন্দ দিতে জমিদার রাজবল্লভ রায়চৌধুরীর হাত ধরে রথযাত্রার সূচনা হয় বারুইপুরের রায়চৌধুরীদের বাড়িতে।
{link}
লর্ড কর্ণওয়ালসিসের আমলে জমিদারির পত্তন হয় রায় চৌধুরীদের। আর সেই থেকেই এখানে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ পালিত হয়। আর সবকিছুর মধ্যে অন্যতম রায়চৌধুরীদের এই রথ। কালের নিয়মে জৌলুস কিছুটা হারালেও এখনো ঐতিহ্যবাহী এই রথের মেলাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন এসে ভিড় জমান । টানা একমাস ধরে চলে এই রথের মেলা। জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ৩৫০ বছর আগে রাজবল্লভ চৌধুরী স্বপ্নাদেশে পেয়ে নিজের বাড়িতেই জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে রথযাত্রার সূচনা করেছিলেন। এক সময় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ও (Bankim Chandra Chatterjee) বেশ কিছুদিন এই বাড়িতেই এসে থেকে ছিলেন।
{link}
‘দুর্গেশ নন্দিনী’ (Durgeshnandini) উপন্যাসের একটা বড় অংশ এই বাড়িতে বসে লেখা হয়েছিল । বিগত দিনের মতো এবছরও সাড়ম্বরে পালিত ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা। এই রথ যাত্রাকে কেন্দ্র করে চৌধুরীদের রাস ময়দানে বসে বিরাট মেলা। চলে একমাস ধরে। প্রচুর দোকানপাট। কি নেই সেই মেলায়। বিক্রি হয় হরেক জিনিসপত্র।বিশেষ করে খাবারের মধ্যে জিলিপি ও বাদামের দোকান বসে লাইন দিয়ে। ফুল ফলেট গাছের দোকান থেকে খাবার , খেলনা , কাঠের জিনিসপত্র , কি নেই এই মেলায় । জগন্নাথ ধাম পুরির রথ যাত্রার নিয়মেই হয় এই রথ যাত্রা । পুরিতে রথ যাত্রা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেমন মানুষের সমাগম হয় জগন্নাথ ধামে। সেই রকমই বারুইপুরের রায়চৌধুরী বাড়ির রথ দেখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীরা ছুটে আসেন এই পুণ্য ক্ষেত্রে ।
{ads}