সুদেষ্ণা মন্ডল , গঙ্গাসাগর: নতুন বছরে মুখ্যমন্ত্রীর সফরে আগে সেজে উঠছে গঙ্গাসাগর। গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সাগরদ্বীপে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহের শুরুতেই আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোর কদমে চলছে মেলার প্রস্তুতি। বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীরা একাধিকবার মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেছেন। জেলা প্রশাসন মেলার কাজে যুক্ত সমস্ত দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছে। মুখ্যমন্ত্রী আসার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সোমবার হেলিকপ্টার ট্রায়াল চলছে। নতুন বছরের ৪ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগরে আসবেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর । গঙ্গাসাগর পৌঁছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে গঙ্গাসাগর মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন। তারপরে কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দেবেন। এ ছাড়া, গঙ্গাসাগরে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের আদলে তৈরি নতুন হেলিপ্যাড ময়দানের উদ্বোধন করবেন। বুধবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করবেন।
{link}
আগামী ১৪ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে পৌষ সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান সারবেন তীর্থযাত্রীরা। এবার কুম্ভমেলা না থাকায় গঙ্গাসাগরে রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হবে বলে অনুমান রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের। তাই এক মাস আগে থেকেই মেলা সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন।একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় সমুদ্রতটে ধস নেমেছিল। নতুন করে সমুদ্রতট বানানো হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের থাকার জন্য ‘বাফার জ়োন’ তৈরির কাজ চলছে। মন্দিরে নতুন রঙের পোঁচ পড়েছে। কচুবেড়িয়া বাসস্ট্যান্ড ও গঙ্গাসাগর বাসস্ট্যান্ড থেকে মেলাপ্রাঙ্গণ চত্বর ১ নম্বর থেকে ৫ নম্বর রাস্তা পর্যন্ত আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছে।
{link}
আনুষ্ঠানিকভাবে ৮-১৫ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়, পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চট্টোপাধ্যায়েরা দফায় দফায় সাগরে এসেছেন। তা ছাড়াও, সাগরের বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা গত একমাস ধরে বার বার মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন। তাঁকে এই মেলা আয়োজনের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ত্রিমাত্রিক মডেলের মাধ্যমে এবার গঙ্গাসাগর মেলায় তুলে ধরা হবে রাজ্যের পাঁচটি মন্দির। অস্থায়ী কাঠামোর মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে রাজ্যের পাঁচটি ঐতিহ্যবাহী মন্দিরকে। অনেক পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগর মেলায় এসে তারাপীঠ, কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বর ও জহুরা কালীবাড়ি দর্শনের সুযোগ পাবেন। অনলাইনে পুজো দেখতে পাবেন। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মেলায় সব ধরনের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। নতুন করে সমুদ্রতট তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে।
{ads}