নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠানকে ঘিরে উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরে খেজুরি। জেলা সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ জমিদাতারাদের, যার জেরেই রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর। খেজুরির পুলিশের সামনেই হেনস্থার শিকার হন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা এগরা বিধায়ক। এই বিক্ষোভের উস্কে দিল ২০০৭ সালের জমির আন্দোলনের স্মৃতিও। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। কার্যত নাজেহাল খেজুরি থানার পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যত ব্যর্থ হয় খেজুরি থানার কর্তব্যরত ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশ বাহিনী। রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি অনুষ্ঠান শেষ করে বেরিয়ে গেলেও ভূমিদাতাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে যায় কাঁথি সাংগঠনীক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা এগরা বিধায়ক অরুণ কুমার মাইতি। তুমুল বিক্ষোভের ব্যাপক উওেজনা সৃষ্টি হয়।
{link}
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদনীপুরে খেজুরি কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ বছর আগে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বামফ্রন্ট আমলে এই কলেজ তৈরি হয়। তৃনমূল সরকার আমলে কলেজটি সম্প্রসারণের জন্য স্থানীয় চাষীদের কাজ জমি নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাদের চাকুরি ও দাম দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। তৎকালীন খেজুরির বেশ কয়েকজন বাসিন্দা কলেজকে জমি দেন। তখনই কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন তাদের ন্যায়্য দাম ও কর্ম সংস্থান করবে কলেজ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি, জেলা সহকারী সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান একাধিক পদাধিকারী ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠান শুরুর পর থেকেই কলেজের বাইরে হাতে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে জমায়েত হয় বেশ কয়েকজন জমিদাতারা। তাদের অবিলম্বে ন্যায্য জমির দাম দিতে হবে ও কলেজে কর্মসংস্থানে দিতে হবে বলে দাবী করতে থাকে তারা। হাতে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে কলেজের অনুষ্ঠান ভবনে ঢুকতে গেলে খেজুরি থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকরা নেতৃত্বের পুলিশ কর্মীরা বাঁধা দেয়। তখনই পুলিশের সঙ্গে ভুমিদাতাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তারপরে কাঁথি সংগঠনীক জেলার তৃনমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি তথা এগরা বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতিকে অনুষ্ঠান থেকে বেরোনোর সময় ঘিরে ধরে জমিদাতারা। তাঁকে ঘিরে ধরেই চলতে থাকে বিক্ষোভ। টাকা চাই ও কাজ চাই বলে স্লোগান দিতে থাকে জমিদাতারা।
{link}
দীর্ঘক্ষন জেলা সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। পুলিশ বাঁধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় জমিদাতা। সুবিচারের আশ্বাস দিয়ে অবশেষে বুঝিয়ে শান্ত করেন জেলা সভাপতি ও পুলিশ। বিক্ষোভকারী এক জমিদাতা বলেন " জোর করে জমি নেওয়া হয়েছিল। তখনই জানানো হয় টাকা ও কাজ দেওয়া হবে। কিন্তু কোন কিছুই দেয়নি। এর বিচার চাই "। কাঁথি সাংগঠনীক তৃনমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি তথা এগরা বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতিকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেনি। তাই কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন " পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এবিষয়ে আর বেশি কিছু মন্তব্য করব না" বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে উত্তেজনার পারদ চড়েছে অনেকাংশেই। এখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাই দেখার বিষয়।
{ads}