সুদেষ্ণা মন্ডল, জয়নগর: জয়নগরে গড়ে উঠলো মোয়ার ল্যাবরেটরি। শীতে মরশুমে জয়নগরের মোয়ার স্বাদ পায়নি এমন বাঙালি খুবই কম রয়েছে । শীত পড়লেই বাঙালির রসনা তৃপ্তিতে যে সুস্বাদু মিষ্টির নাম মুখে আসে সেটি হচ্ছে জয়নগরের বিখ্যাত মোয়া। সম্প্রতি, জয়নগরের মোয়া জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। জয়নগরের প্রসিদ্ধ মোয়া শিল্প কে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে নানান পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার জয়নগরের স্টেশন বাজার সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠলো মোয়ার ল্যাবটারি।
{link}
এই ল্যাবরেটরীতে মূলত, জয়নগরের প্রসিদ্ধ মোয়া নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি মোয়াকে কিভাবে বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় সেদিকেও গবেষণা চালাবে বৈজ্ঞানিকেরা। জয়নগরের মোয়ার চাহিদা রয়েছে বিশ্ববাজারে, এই মন খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় মহা স্বাদ পেতে ব্রাত্য থেকে যায় ভিন্ন রাজ্যের মানুষেরা। সম্প্রতি জয়নগরের মোয়া কের গোটা বিশ্বের ছড়িয়ে দিতে অনলাইন ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অনলাইন মাধ্যম থেকে কয়েক হাজার মোয়ার অর্ডার ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছে জয়নগরের মোয়া দোকানগুলিতে। শীতের মরশুমে নাওয়া খাওয়া ভুলে জয়নগরের মোয়াকে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে মোয়া তৈরিতে ব্যস্ত কারিগরেরা।
{link}
এই প্রসঙ্গে বৈজ্ঞানিক রাজশ্রী দে জানান, জয়নগরের মোয়ার স্বাদ পরীক্ষা করা হবে এই ল্যাবরেটরিতে পাশাপাশি মোয়াতে ভেজালের পরিমাণও পরীক্ষা করা হবে। মোয়া কিভাবে বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় সেইদিকেও বিশেষ নজর দেয়া হবে। এই ল্যাবরেটরীতে মোয়া খেয়ে কেউ যদি অসুস্থ হয় সেই মোয়ার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। মোয়া ব্যবসায়ী রাজেশ দাস জানান, জয়নগরের মোয়াকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। জয়নগরের মহা স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় বিশ্বের সকল মানুষের কাছে আমরা জয়নগরের মোয়াকে পৌঁছে যেতে চাই। সব মিলিয়ে বাঙালির 'মোয়া প্রেম' যে আরও কয়েকগুন বৃদ্ধি পেতে চলেছে, তা স্পষ্ট।