নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া: সোমবার দুপুরে হাওড়া ময়দান একটি ব্যাগের গোডাউনে ভয়াবহ আগুন। সকালে হঠাতই ওই ব্যাগের গোডাউনে আচমকা আগুনের শিখা লক্ষ্য করেন উপস্থিত কর্মচারীরা। কিছুক্ষনের মধ্যেই সেই আগুন ভয়াবহ রূপ ধারন করে। লেলিহান শিখার গ্রাসে চলে যায় সমস্ত গোডাউন। চারপাশে অন্যান্য দোকানগুলিতেও বিপুল পরিমানে দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে তাদের মধ্যেও। দকমলে খবর পৌঁছানোর কিছুক্ষনের মধ্যেই দমকল বাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা শুরু করে দেয়। বেশ কিছুক্ষনের চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রনে আসে আগুন। এই দুর্ঘটনার কারনে বিপুল পরিমানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ করে দেওয়া হয় জিটি রোডের যান চলাচলও। ঠিক কি কারনে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে এখনো জানা যায়নি।
{link}
হাওড়া শহরের একটা বড়ো অংশ কার্যত এখন যতুগৃহ, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষভাবে এশিয়ার বৃহত্তম রেডিমেড পোশাকের হাটের নাম মঙ্গলাহাট। এই হাট লাগোয়া জিটি রোডের দুই প্রান্তে রয়েছে কয়েক হাজার কাপড় ও সহজদাহ্য সামগ্রীর দোকান। আগুন লাগলে মুহূর্তেই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়বে হাওড়া শহরের একটা বীস্তীর্ন এলাকা জুড়ে। দমকল কর্তারা যা নিয়ে ভীষণরকম ভাবে চিন্তিত। প্রশাসনিক ভবনগুলির পাশাপাশি রয়েছে হাওড়া জেলা আদালত, পোস্ট অফিস, পৌরসভা, হাওড়া জেলা হাসপাতাল, স্কুল ও কলেজ। যে কারনে আশঙ্কা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। অগ্নি নির্বাপন নিয়ে একধিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও কার্যত এখনও পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। এদিকে সচেতনতারবোধের অভাব থাকার কারনেই অগ্নি নির্বাপনের কোন ব্যবস্থা না রেখেই রমরমিয়ে চলছে কারবার। যে কোন সময় আগুন লাগলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে আস্ত বাজারগুলি। ক্ষতির অঙ্ক ছাড়িয়ে যাবে আনুমানিক একশো কোটির কাছাকাছি। আসলে প্রশাসন কে অন্ধকারে রেখে কিংবা ‘আন্ডার দা টেবিল’ সেটিং করে চলছে এই কারবার এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় মানুষের।
{ads}