যুবনেতা বা যুব দলের প্রেসিডেন্ট যে আসন নিয়ে ঘাসফুলে এতো লড়াই সেই আসনে কার্যত একাধিপতি হয়ে গেলেন অভিষেক। এবারে বিপুল জনাদেশ নিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নিয়েছেন তিনি। বাকি মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অনু্ষ্ঠান হবে সোমবার। এদিন মমতার মন্ত্রিসভায় অভিষেককে নিয়ে আসার সম্ভাবনা প্রবল।
{link}
এ যাত্রায় তৃণমূলকে ভোট বৈতরণী পার হতে যাঁরা কান্ডারির ভূমিকা পালন করেছেন তাঁদের মধ্যে এক নম্বরে ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কুমার হলে, তারপর জননেত্রী হলে অবশ্যই তিন নম্বরে অবশ্যই অভিষেক। রাজ্যে সর্বত্রই প্রচার করেছেন তিনি। তাই এই জয়ের কৃতিত্ব তাঁরও। সেই কারণেই তাঁকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী করা হতে পারে বলে তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর। শিক্ষায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই থাকছেন বলে ঘাসফুল শিবির সূত্রে খবর। অমিত মিত্রকে দেওয়া হচ্ছে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলতে বাকি থাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর। বিগত দু টার্মে এই দফতরের রশি মমতা রেখেছিলেন নিজের হাতেই। এবার সেই দপ্তরই তিনি অভিষেকের হাতে তুলে দিতে চান বলে জল্পনা তৃণমূলের অন্দরেই। সেক্ষেত্রে অবশ্য সমস্যা দেখা দেবে দুটো। এক, লোকসভার সাংসদ পদে ইস্তফা দিতে হবে অভিষেককে। আর দুই, আগামী ছ মাসের মধ্যে রাজ্যের কোনও একটি আসনে জিতে আসতে হবে তাঁকে। সেক্ষত্রে জেতা আসন ছাড়তে হবে কোনও এক বিধায়ককে। মমতার জন্য বিধায়ক পদ বলি দিতে হবে আরও একজনকে। সমস্যা এখন এই দুটিই।
{link}
তবে অভিষেকের মন্ত্রী হওয়ার জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন স্বয়ং। তিনি বলছেন, তৃণমূলকে সর্বভারতীয় দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ‘বিস্তারকে’-এর ভূমিকা নেবেন তিনি। অভিষেক মন্ত্রী হতে না চাইলে কী হবে, তাঁকে মন্ত্রী করা হতেই পারে। তবে কি এবার স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর পদে যুবরাজ কে দেখতে চলেছে বাংলার মানুষ প্রশ্ন উঠছে এখানেই।
{ads}