আজ কুলতলির সভার ফের নাম না করে তিব্রভাবে অভিষেক ব্যানার্জিকে আক্রমন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আজকের সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, সিপিএম যখন যায় তখন রাজ্যে দু লক্ষ্য কোটি টাকার বোঝা ছিল, তখন দিদিমনি বড় বড় কথা বলেছিলেন আর আজকে চার লক্ষ্য সাত হাজার কোটি টাকা ঋনের বোঝা। এছাড়াও সবুজ সাথীর সাইকেল ও স্কুলে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি। নিজের বক্তৃতার শেষে কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে ভাইপো যাবে শ্রীঘরে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিজেপিতে যোগদানের দিনের অমিত শাহের শাহী সভা থেকে তোলাবাজ ভাইপো হটাও স্লোগান তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকে তার দেওয়া সবকটি বক্তৃতার প্রায় কোনটিতেই ভাইপোকে কটাক্ষ করতে ভোললেননি তিনি। জবাব দিতে ছাড়েননি অভিষেক ব্যানার্জিও, নন্দীগ্রামের সভাতে গিয়েই তিনি সুদীপ্ত সেন-এর চিঠির কথা উল্লেখ করে চোর বলে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দুকে। সেখান থেকে লড়াই গড়িয়েছিল আইনের পথেও। অভিষেককে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে কেউ এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ছেন না একে অপরকে। একসময়ের সহযোদ্ধারাই আজ পরস্পরের অন্যতম কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। বর্তমানে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক মহলেও লড়াইয়ে যে এই দুই যুব নেতা অন্যতম প্রধান মুখ তা নিয়ে কোন মতবিরোধ নেই। এখন ক্রমাগত চলতে থাকা বাগযুদ্ধের আক্রমনের পর কে তার মুখে শেষ হাঁসি বজায় রাখতে পারেন তার উত্তর দেবে আসতে থাকা একুশের নির্বাচনের ফলাফল। পদ্ম নাকি জোড়াফুল কোন ফুলে আস্থা মানুষের?
{ads}