নিজস্ব সংবাদদাতা: নিয়োগ দূর্নীতিতে এবার ফের ইডির র্যা ডারে নতুন এক অভিনেত্রীর নাম। অয়ন শীলের সূত্র থেকে উঠে আসছে এই নতুন নাম। শান্তনু ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল কে গ্রেপ্তারের পর তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু নথি। সেখানেই নাম যুক্ত হয় কামারহাটি পৌরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার শ্বেতা চক্রবর্তীর। দীর্ঘদিন মডেল জগতের সঙ্গে যুক্ত নৈহাটি বিজয়নগরের বাসিন্দা শ্বেতা চক্রবর্তী।
{ads}
গত ২০১৭ সাল থেকে অয়ন শীলের সাথে পরিচয় শ্বেতা চক্রবর্তী। জানা যাচ্ছে অয়ন শীলের স্ত্রীর সুবাদেই মডেল শ্বেতার সাথে পরিচয় অয়নের। অয়ন শীল পেশায় প্রোমোটিং এর ব্যবসা করেন। তার প্রোমোটিংয়ের ব্যবসার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন শ্বেতা। দীর্ঘদিন ধরে কামারহাটি পৌরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করেন শ্বেতা চক্রবর্তী। গতকাল অয়ন শীলের বাড়ি থেকে যে সমস্ত নথি উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের আধিকারিকেরা। সেখানে পৌরসভাতেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছেন তদন্তকারী সংস্থা। সেখানেই বেশ কয়েকটি পৌরসভার নাম ও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে ইডি সূত্রে। আর তাতেই কামারহাটি পৌরসভায় কর্মরত শ্বেতা চক্রবর্তীর সূত্র পান তদন্তকারী অফিসারেরা। ইডির তদন্তে দেখা গেছে শ্বেতা একটি গাড়ি কেনার সময় বেশ কিছু অর্থ দিয়ে ছিলেন অয়ন। সেই সূত্র ধরেই ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের আধিকারিকেরা শ্বেতাকে তলব করেছেন ইডি দপ্তরে।
{link}
সূত্রের খবর, নৈহাটির পাশাপাশি শ্বেতা ও অয়ন কামারহাটি পৌরসভার কাছেই একটি আবাসনে মামা ও ভাগ্নির পরিচয় দিয়ে থাকতেন। মাঝে মধ্যেই আসতেও দেখা যেত তাদের। বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটাতেন আবাসনের এই ঘরটিতে বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের আর দেখা পায়নি আবাসনের অন্য আবাসিক সহ নিরাপত্তারক্ষীরা। এই প্রসঙ্গে আবাসনের এক নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন মাঝেমধ্যে এই আবাসনে আসতেন তারা। যাতায়াত করতেন একটি চার চাকা গাড়িতে তবে গত সপ্তাহখানেক ধরেও তাদের দেখা পায়নি তিনি। এই বিষয়টি থেকে দূর্নীতির আরও একটি দিক সুস্পষ্ট হয়ে উঠে আসে কি না তাই এখন দেখার অপেক্ষা।
{ads}