নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূম: এখনও সফরসূচির দিনক্ষণ নির্দিষ্ট হয়নি। তবে, সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের ৩১ জানুয়ারী ও ১ ফেব্রুয়ারি বীরভূম সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খবর মিলেছে প্রশাসন সূত্রেই। জেলায় এলে তিনি বোলপুরে থাকেন ও গীতাঞ্জলিতে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেটা ধরে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই সম্ভাব্য সফর যতটা না প্রশাসনিক, তার চেয়ে অনেক বেশি রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে শাসকদল। একইভাবে অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে দলীয় সংগঠনের নড়বড়ে হাল মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে শক্ত করেন তাও দেখার বিষয়।
{link}
শেষবার মমতা বীরভূমে এসেছিলেন গত বছর মার্চে বগটুই হত্যাকাণ্ডের ঠিক পরেই। বর্তমান পরিস্থিতির এই অবস্থায় জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূমের মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলায় বেশ কিছু নির্দেশ দিতে পারেন দলনেত্রী। অনুব্রত-হীন বীরভূমে কী বার্তা দেন তিনি, সে দিকেই তাকিয়ে দলের শীর্ষ নেতারা। জেলার প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা ইতিমধ্যেই ঘুরে দেখেন ডাক বাংলো ময়দান ও গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহ। প্রদর্শনকারীদের মধ্যে ছিলেন ডিআইজি বর্ধমান, শ্যাম সিং ও বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী সহ অন্যান্যরা। প্রসঙ্গত জেলায় এখন দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অনুব্রতের পরের স্তরের নেতারা। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী ও লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ সমন্বয় করে সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখছেন। কিন্তু, দলীয় সূত্রেই জানা যাচ্ছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমন্বয়, বোঝাপড়ায় ঘাটতি প্রকট হচ্ছে। খামতি রয়েছে নিচুতলা পর্যন্ত সংগঠন পরিচালনায় দক্ষতার ক্ষেত্রেও। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর জেলা সফর ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ, মানছেন তৃণমূলের সকলেই। সফরে এসে কি বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী?
{ads}