শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার মাটিয়া থানার সরুপনগর এর ঘটনা। গত আট মাস আগে হাসনাবাদ থানার বরুনহাটে রামেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালুতলা গ্রামের বছর ২৪ এর তুহিনা পারভীনের সঙ্গে বিয়ে হয় সরুপনগর এর বছর ২৭ এর সাব্বির আহমেদ মন্ডল এর সঙ্গে। মুসলিম শরীয়ত মেনে রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়। তারপর থেকে বিভিন্ন সময় পণের দাবিতে কখনো মোটা অর্থ আবার কখনো আসবাবপত্র এর চাহিদা বাড়তে শুরু করে স্বামী শশুর শাশুড়ি সহ পরিবারের লোকজনের। চলতি মাসের রবিবার সকাল বেলায় পারভীনের কাছে একটি বুলেট গাড়ির দাবি করে স্বামী বলেন বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে। কিন্তু প্রতিবাদ জানাই সে।
{link}
দুঃস্থ পরিবার,বাবা গৃহ শিক্ষক, পাশাপাশি চাষবাস করে দিন গুজরান করেন তিনি।বিয়ের সময় সাধ্যমত সোনা গয়না টাকা পয়সা জিনিসপত্র দিয়েছিল। মেয়ে কাছে বারবার বুলেট গাড়ির দাবি করলে দিতে না পারায় তাকে গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন দেয় বলে অভিযোগ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরবেলায় ওই এলাকার অন্য একজন বধুর পরিবারকে জানায় মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, ধান্যকুড়িয়া গ্রামীন হাসপাতালে মৃতদেহ রয়েছে। স্বামী এই খবর দেন তুহিনা বাপের বাড়ির লোকজনকে। মৃত গৃহবধূর বাবা খলিলুর রহমান গাজী, মা জাহানারা বিবি পরিবারে অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে ধান্যকুড়িয়া হাসপাতালে গেলে দেখে তার মেয়ের গলায় শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতিক চিহ্ন রয়েছে, তাকে শ্বাস রোধ করে মেরে ফেলে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
{link}
এমনটাই অভিযোগ করেছেন মৃত বধুর বাবা খলিলুর রহমান গাজী, মাটিয়া থানায় জামাই সাবির আহমেদ মন্ডলের বিরুদ্ধে খুনের মামলার রুজু করেছে। সেখানে লেখা রয়েছে আমার মেয়েকে কাছে একটি বুলেট গাড়ি চেয়েছিল ফোন করে,আমাকে জানিয়েছিল। আমি দিতে না পারায় তারা তার মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে বাড়িয়া থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষা করার পরে জানা যাবে এটা আত্মহত্যার না খুন? মৃত গৃহবধুর বাবা খলিলুর রহমান গাজী মা জাহানারা বিবি বলেন, রবিবার আমার মেয়ে বারবার ফোন করে বলে একটি বুলেট গাড়ির কথা। সঙ্গে কিছু অর্থ কিন্তু আমরা হতদরিদ্র পরিবার। কোন রকম ভাবে সংসার চলে, দিতে পারিনি। তাই তারা পরিকল্পনা করে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে তার মেয়েকে।
{ads}