মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার এক্স-রে রিপোর্ট বাংলার মানুষের কাছে প্রেস করার দাবি করলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এছাড়াও এদিন তিনি আহত হওয়ার ঘটনাকে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভন্ডামী বলে আক্ষা দিয়েছেন। ভোটের আগে হুইল চেয়ারে করে প্রচারে গিয়ে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন আমাকে খুনের চক্রান্ত করা হয়েছিল, পরে বললেন আমার ধাক্কা লেগেছে। রাজনৈতিক পাল্টিবাজি। হামলা ধাক্কায় রূপান্তরিত হতে ২৪ ঘন্টা সময় লাগলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হাসপাতাল থেকে এক দিন পরে ছুটি দেওয়া মানে ক্ষুদ্র আঘাত লাগা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক ভন্ডামীতে অভ্যস্ত। এই সমস্ত সাজানো নাটক মুখ্যমন্ত্রীর বলে তিব্রভাবে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
এর পাশাপাশি অধীর বাবু আরও বলেন, আমরা বাংলা দখলের লক্ষ্যে এগোচ্ছি, মুখ্যমন্ত্রী করার লক্ষ্যে এগোচ্ছি না। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মালদহের ডালু বাবুর বক্তব্য "ভোটের পরে কংগ্রেস তৃণমূলকে সমর্থন করবে" এই প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী মন্তব্য করেন, ডালু বাবু কি বলেছে, না বলেছে আমি জানি না। তবে আমাদের কথা স্পষ্ট যে, এখন নির্বাচন ভবিষ্যতে কি হবে জানি না। ভবিষ্যতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিধায়করা বিজেপিতে পালাতে পারেন। আমাদের বক্তব্য পরিস্কার আমরা বাম কংগ্রেস তৃতীয় শক্তি বাংলা দখল করতে চাইছি। কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করার লক্ষ্যে আমরা এগোচ্ছি না৷
ভোটের আগে যে এবারে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে খামতি রাখেনি বাম কংগ্রেস ও আইএসএফ জোট। অন্যদিকে যাদের মধ্যে এবারে কার্যত একুশের লড়াই ভাবা হচ্ছিল সেই ঘাসফুল ও পদ্মপফুল দুই শিবিরেই। যার সুযোগ অবশ্যই নেবে জোট। তাই সামনের নির্বাচনে কে জয়লাভ করবে তা এখন থেকে ধারনা করা অত্যন্ত কঠিন। সবটাই জানা যাবে ২রা মে ফলাফল ঘোষনার পর।
