নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদ: রাজ্য রাজনীতিতে একেবারে আনকোরা মুখ, প্রথম নির্বাচন লড়াইয়ে নেমেই কামাল করে দিলেন কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। হাই ভোল্টেজ সাগরদিঘীর বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলাফলে সবাই পাখির চোখে তাকিয়ে ছিলেন। সকালে প্রথম রাউন্ডের পরেই একটা আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। সবশেষে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস নির্বাচনে জয়ী হলেন। ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে বায়রন, রাজনীতির মঞ্চে একেবারে নতুন। তার বাবা একজন ব্যবসায়ী, একসময় বামফ্রন্ট করতেন। তবে রাজনীতি ছেড়ে ব্যবসায় মন দিয়েছিলেন। ব্যবসায়ী পরিবারে বেড়ে ওঠা বায়রনের রাজনৈতিক সম্পর্কে সেরকম কোনো ধ্যান-ধারণা ছিল না, তবে নির্বাচনের লড়াইয়ে কামাল করে দিলেন তিনি। নতুন করে কংগ্রেস পেল অক্সিজেন, নিকটতম তৃণমূল প্রার্থীকে তিনি পরাস্ত করে সাগরদিঘী বিধানসভায় কংগ্রেসের ঝান্ডা প্রতিষ্ঠা করলেন।
{link}
আর জিতেছেনও একেবারে বিরাট মার্জিনে। এক দুই হাজার নয়, একেবারে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। রাজ্যে কংগ্রেসের সাইনবোর্ড হয়ে যাওয়ার তকমা ঘুচিয়ে দিয়েছেন এই যুব নেতা। সাথে এই জয়ে বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে সিপিআইএমও। তাদেরও শূন্যর অবস্থানের বদল ঘটেছে। কালকে জয়ের ইঙ্গিত আসতেই অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজেয় নন! এটাই তার প্রমাণ। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় শাসক দলের উপনির্বাচনে হার? এটা কিভাবেই বা সম্ভব? সেই নিয়েই আরও উঠছে প্রশ্ন। যে প্রশ্নের উত্তর বার করতে ঘাম ছুটছে দুঁদে রাজনীতিবিদদেরও। দুর্নীতি কি এতোটাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে মনকে তিক্ত করে দিয়েছে ভোটদাতাদের? আসন্ন সময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পাশাপাশি ২৪শে বড়ো পরীক্ষা। সেই পরীক্ষাতেও এহেন ফলাফল হলে মা-মাটি-মানুষের সরকারের স্লোগান থেকে তৃতীয় শব্দটি ম্লান হয়ে ওঠার একটা সম্ভাবনা যে তৈরি হওয়ার ক্ষীন হলেও ইঙ্গিত রয়েছে, তা কিন্তু গরমের দুপুরে গায়ে ছেঁকা লাগিয়ে দেওয়া তপ্ত রোদ্দুরের মতোই স্পষ্ট শাসক শিবিরের কাছে। দুর্নীতির তপ্ত আঁচ কিভাবে সামলে উঠবে শাসক শিবির?
{ads}