শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : এই টাটা (Tata) গোষ্ঠীর ন্যানো কারখানা নিয়েই বলা যায় একটা ৩৪ বছরের সরকারের পরিবর্তন ঘটে গেছে। তারপরে গঙ্গা দিয়ে বহু জল প্রবাহিত হয়েছে। এবার সেই টাটারাই আবার বাংলায় বিনিয়োগ করার উৎসাহ দেখিয়েছেন। বুধবার টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন (Natarajan Chandrasekaran) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করতে আসেন।
{link}
দীর্ঘক্ষণ তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। তবে কী বিষয় নিয়ে বৈঠক হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। হঠাৎ এই সাক্ষাতে জল্পনা তৈরি হচ্ছে, বাংলায় ফিরবে টাটা গোষ্ঠী? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এক্স হ্যান্ডেলে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনের সঙ্গে সাক্ষাতের ভিডিয়ো পোস্ট করেন। রাজ্যে টাটা গ্রুপের উপস্থিতি এবং আগামী দিনে বাণিজ্য-বিনিয়োগের গন্তব্য হয়ে ওঠা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত,হুগলির সিঙ্গুরে তৈরি হচ্ছিল টাটা ন্যানোর কারখানা। এটি ছিল রতন টাটার স্বপ্নের প্রকল্প। কিন্তু সেই স্বপ্নে বাধ সাধে জমি আন্দোলন।
{link}
সিঙ্গুরের ৯৯৭ একরের মধ্যে ৪০০ একর জমি কৃষিজমি বলেই দাবি করা হয়। অনিচ্ছুক চাষিদের জমি জোর করে নেওয়া হচ্ছে অভিযোগ তোলা হয়। তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই সেই জমি আন্দোলন বিরাট আকার ধারণ করেছিল। ৩৪ বছরের বাম আমলের পতন হয়েছিল ওই আন্দোলনের হাত ধরে। শেষে ২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর সিঙ্গুর থেকে প্রকল্প সরানোর ঘোষণা করেন টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার রতন টাটা। গুজরাটের সানন্দে খোলে টাটা ন্যানোর কারখানা। বাংলায় কারখানা না খোলা নিয়ে আক্ষেপ ছিল রতন টাটার।
{ads}