এবার বিজেপি ছাড়তে চলেছেন অর্জুন সিং? অন্তত এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দিনভর এই কথাই কানাঘুষো শোনা গেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। যদিও অর্জুন সিংহের ঘনিষ্ট সূত্র থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তিনি দল পরিবর্তন করছেন না, তাও সে কথা আর গায়ে মাখছেন ক-জন?
{link}
শেষ লোকসভা নির্বাচনের আগে টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছেড়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার দাপুটে নেতা অর্জুন সিং। যোগদান করেছিলেন গেরুয়া শিবিরে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীকে গোহারা হারিয়েছিলেন অর্জুন। তার পর থেকে ব্যারাকপুরে তিনি বিজেপির বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের ফল একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ধরে রাখতে পারেনি গেরুয়া শিবির। অর্জুন গড়ে উড়েছে সবুজ আবীর। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে মোট সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মাত্র একটিতে বিজয়ী হয়েছেন বিজেপির প্রার্থী। জয়ী কেন্দ্র ভাটপাড়া ছাড়া সহ বাকি ছটি আসনেই কার্যত ভরাডুবি হয়েছে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের দলের। ভোটের পরেই ওই লোকসভা কেন্দ্রের অধীন বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় শুরু হয় বিক্ষিপ্ত অশান্তি। যার জেরে সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন অর্জুন বলে সূত্রের খবর।
{link}
কিন্তু এবার কার্যত কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেই চটেছেন অর্জুন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন অর্জুন। অর্জুনের নিরাপত্তায় রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পরেও তাঁর বাড়ির সামনে প্রায়ই হচ্ছে বোমাবাজি। যার জেরে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার অর্জুন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার শুধুই আইন দেখিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোনও কাজ হচ্ছে না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলায় দলের কর্মীরা ঘরছাড়া হচ্ছেন। হচ্ছে সম্পত্তি হানিও। তাঁদের মারধরও করা হচ্ছে। বাংলার রাজনৈতিক মহলের মতে এই মন্তব্যেই জোরালো হয়েছে অর্জুনের বিজেপি ছাড়ার জল্পনা। বাংলার বেশ কিছু রাজনীতিবিদের মতে, পুরানো দলের নেতাদের সঙ্গে অর্জুনের সম্পর্ক ভালো। তৃণমূলনেত্রীর সম্পর্কেও তিনি এমন কোনও খারাপ মন্তব্য করেননি বলেই সকলে জানে। তাই অর্জুনের আবার পুরোনো দলে ফিরার কথা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায়নি। যদিও মদন বাবুর সাথে সংবাদমাধ্যমে কথা কাটাকাটি হয়েছে একটু। কথা একটাই, হঠাৎ নিজের পায়ে কুড়ুলই বা মারতে গেলেন কেন তিনি ?
{ads}