header banner

কাশ্মীরে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার আমিরুদ্দিন চক্রান্তের শিকার বলে দাবি পরিবারের

article banner

নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া: কাশ্মীরে জামা কাপড়ের ব্যবসা এবং মাদ্রাসায় শিক্ষকতার আড়ালে আসলে জঙ্গি সংগঠনের হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজকর্ম করত আমির উদ্দিন খান। এমনটাই দাবী করেছে কাশ্মীর পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করার পর অনেক তথ্য উঠে এসেছে কাশ্মীর পুলিশের হাতে। হাওড়ার সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত মাসিলা পাঠান পাড়ার গ্রামের বাড়ি আমিরুদ্দিনের।বর্তমানে কাশ্মীরে সস্ত্রীক বসবাস করতো সে। জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দা সঙ্গে তার যোগ আছে এমনটাই মনে করছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক আইন এবং ইউ এ পি এ ধারায় পুলিশ মামলা শুরু করেছে। জানা গেছে, আমিরউদ্দিন খানকে গতকাল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। তার থেকে উদ্ধার হয় চিনা গ্রেনেড এবং অস্ত্রশস্ত্র।

{link}
আমিরউদ্দিনের গ্রেপ্তারের খবর আসে তার বাড়ি সাঁকরাইল এর মাশিলাতে। গ্রামের বাদিন্দারা ও পরিবারের লোকজন হতবাক এই খবর পেয়ে। তারা বিশ্বাস করতে নারাজ জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত সে। দাদা আজহারউদ্দিন খান জানান তারা পাঁচ ভাই ও দুই বোন। আমিরুদ্দিন ছোট ভাই। উত্তরপ্রদেশে একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছে। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। ২০০৭ সাল থেকে সে কাশ্মীরে বসবাস করছে। বানিহাল ফইজুল ইসলাম মাদ্রাসায় থাকতো সে। মাদ্রাসায় পড়ানোর পাশাপাশি জামা কাপড়ের ব্যবসা করতো। সাঁকরাইল এর বাড়ি থেকে পাইকারি হারে তার কাছে জামাকাপড় পাঠানো হত। এবছর ঈদের সময় সে শেষ বার বাড়িতে এসেছিল।গ্রামের বাসিন্দা বাবাই মীর জানান তাদের গ্রামের গর্ব ছিলো আমিরুদ্দিন। সে কোনোভাবে জঙ্গি কাজ কর্মের সাথে যুক্ত থাকতে পারে না। পরিবারের লোকজন ও গ্রামের বাসিন্দারা মনে করছেন চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে আমিরুদ্দিনকে। 
{ads}

news Kashmir Terrorism Sankrail Howrah West Bengal সংবাদ

Last Updated :