নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি রামনগর বিধানসভায় দলবদলের কর্মসূচি অব্যাহত। রামনগর ২ ব্লকের কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের লছিন্দ্রপুর গ্রামে বিজেপি বুধ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সভায় ২৫ টি পরিবার সিপিএম ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। নবাগতদের হাতে বিজেপি দলীয় পতাকা তুলে দেন মণ্ডল সভাপতি সহ স্থানীয় বিজেপির নেতৃত্বরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ২৫৯ নং লছিন্দ্রপুর গ্রামের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি সচিদানন্দ দাসের নেতৃত্বে বুথ সভায় আয়োজন করা হয়। সভায় শেষে তৃণমূল ও সিপিএম থেকে ২৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করেন। এদিন এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও সিপিএম নেতারা বিজেপিতে যোগদান করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড়সড় ধাক্কা খেল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা।
{link}
কাঁথি সংগঠনীক জেলার বিজেপির সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন "বাংলার মানুষ চোর কাটমানি খোর রিজেক্ট করে দিয়েছে। বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই ভারতীয় জনতা পার্টির উপর আস্থা রাখছেন। তাই সারা বাংলা জুড়ে সহ কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় সৎ মানুষেরা ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা কাঁধে নিচ্ছেন। মানুষের জন সমর্থন নিয়ে কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েত আমরা দখল করবো "।
যদিও এই যোগদান প্রসঙ্গে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস৷ এলাকার তৃণমূল নেতা দাবি "রাম ও বাম একজন হয়ে নতুন নাটক শুরু করেছে। দলের কর্মীদের দলীয় পতাকা ধরিয়ে যোগদান করেছে বলে নতুন করে নাটক শুরু করেছে। মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোট দেবে"। বস্তুত, সম্প্রতি কয়েকদিন আগে রামনগর ২ ব্লকের কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯০০ বেশি তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমের যোগদান করেছিল। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী হাত ধরে তারা সিপিএমে যোগদান করেন। নবাগত যোগদানকারীদের মধ্যে একাধিক দাপুটে তৃণমূল নেতৃত্বরা ছিল।
{ads}