শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : এটা ঠিক কোনো সম্প্রদায়িক ডাঙা নয়, এটা একদল দুষ্কৃতীরা হামলা আর লুঠতরাজ। গত কয়েকদিন ধরে জ্বলছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিভিন্ন অঞ্চল। স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান-সহ একাধিক এলাকার কমপক্ষে ৫০০ টি পরিবার নিজেদের ভিটে-মাটি ছেড়ে গিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন মালদহের বৈষ্ণবনগর পারলাল হাই স্কুলে।
{link}
সেখানেই আপাতত গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির। প্রাণের ভয়ে নিজেদের সাধের জমি বাড়ি ছেড়ে নদী পেরিয়ে এখন তাঁরা পাশের জেলার বাসিন্দা। দুর্গতদের অভিযোগ, ‘আমাদের আর কিছুই নেই। বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। আসবাবপত্র সব জ্বালিয়ে দিয়েছে। সোনা গয়না, টাকা পয়সা, এমনকি গরু ও অন্যান্য গৃহপালিত পশুগুলি নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।’ আরও এক দুর্গতের জানিয়েছেন, ‘আমরা তো বাংলাদেশি না, ভারতেই এই অবস্থা এখানে থেকেই যদি এমন অবস্থা তাহলে আমরা কোথায় যাব?"
{link}
কেন্দ্রীয়বাহিনী নিয়োগের পরেও ভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে অনেককে। ফলে তারাও বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাচ্ছে ত্রাণ শিবিরে। যেখানে ইতিমধ্যেই বিএসএফ মোতায়েন হয়েছে, নেমেছে আরও পুলিশ বাহিনী। কীভাবে তারপরেও ঘরছাড়া হলেন এই দুর্গতরা? শিকড়ছিন্নদেরই অভিযোগ, ‘পুলিশ রয়েছে, কিন্তু দুষ্কৃতীরা নাকি তাদের মানছে না। কোনও মতেই ওদের রোখা যাচ্ছে না।’ রবিবারই মালদার সদন SDO পঙ্কজ তামাং এই দুর্গতদের সঙ্গে ত্রাণ শিবিরে এসে দেখা করে যান। তিনি জানিয়েছেন, ‘শনিবার থেকেই সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তাদের দেওয়া হয়েছে। খাবার, জল, শৌচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও, জামা কাপড়, ধুতিও পাঠানো হবে। সর্বক্ষণ এখানে প্রশাসনের কর্মীরা রয়েছেন।'
{ads}