নেতা ছিল। কর্মী ছিল। সমর্থক ছিল। ছিল আবেগ, ছিল উন্মাদনা। তাহলে কিসের অভাবে বিজেপির আজকের মহা মিছিল সেই অর্থে মেগা মহা মিছিল হয়ে উঠল না। কিন্তু কেন? রাজনৈতিক মহল মনে করছেন সাংগঠনিক নেতৃত্বের অভাব বোধের কারনেই সমৃদ্ধ হয়নি মহামিছিল। গত সাড়ে ‘ন’ বছরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক মহামিছিল দেখেছে হাওড়া শহরের মানুষ। সেই মিছিলে পরিকল্পিতভাবে, পরিকল্পনার ছবি ধরা পড়েনি। কিন্তু হাজার হাজার মানুষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে পায়ে পা মিলিয়ে হাটতে দেখা গেছে। আজকের বিজেপির রোড শোয়ে কোথাও যেন মনে হয় রয়ে গেল ছন্দের অভাব। বাম দুর্গ হাওড়াতে ফাটল ধরিয়ে ২০১১ সালে বামেদের শক্ত ভীত নাড়ীয়ে দিয়েছিলেন মমতা। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মমতার ঘর ভাঙতে প্রবল বিক্রমে পথে নেমেছে বিজেপি। ঘর ভাঙার খেলায় প্রতিদিনই এগিয়ে থাকছে বিজেপি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বিজেপি কি আদৌ সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে পারছে? সাংগঠনিক শক্তি মজবুত করা এবং একই সঙ্গে দলের কর্মী এবং সমর্থকদের চাঙ্গা করতে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত র্যা লি করল বিজেপি। হাওড়া ছিল একসময় বামেদের ঘাঁটি, সেই লাল দুর্গের জমিই একদিন ভরে ওঠে ঘাসফুলে, জমির রং হয় সবুজ, আর আজ সেই জমিতে নির্বাচনের প্রাক্কালে পদ্ম চাষে মরিয়া বিজেপি। মিছিলে ছিলেন দিলিপ ঘোষ, অর্জুন সিং থেকে শুরু করে জেলা স্তরের একাধিক বিজেপি নেতা। এই মিছিল সাধারণ মিছিল নয় এর পিছনে রয়েছে হাওড়া শহরে বিজেপির শিকড় মজবুত করার পরিকল্পনা। হাওড়াতে শাসক দলের নিজেদের মধ্যে বেঁধেছে কোন্দল। আলগা হয়েছে আভ্যন্তরীণ মহল।
আজকের বিজেপির মিছিলে কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে দেখা গিয়েছে প্রবল উন্মাদনা।পরিধানে গেরুয়া বস্ত্র ও হাতে বিজেপির পতাকা নিয়ে দেখা গেল সমর্থকদের। মুকুল রায় মিছিলে যোগ না দিলেও সরাসরি উপস্থিত ছিলেন সভাতে। যে পথ দিয়ে মিছিল যাচ্ছে সেখানে পথের ধারে ধারে আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। উত্তেজনা পূর্ণভাবে একের পর এক নেতৃবৃন্দের দলত্যাগ ও বিজেপিতে যোগদান কাঁপিয়ে দিচ্ছে রাজনৈতিক মহলকে। আগামী রবিবার একই পথে বিজেপির পাল্টা মিছিল তৃনমুল কংগ্রেসের। শুরু হয়েছে টেক্কা। রাজনৈতিক জমি দখলের লড়াই। এগিয়ে থকবে কে? তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে জ্যৈষ্ঠের মাঝ দুপুর পর্যন্ত।
{ads}