শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে আলু পাঠাতে নিষেধ করেছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমস্যা তৈরী হয়েছে রাজ্য সরকারের। হিম ঘরের মালিকেরা এই নিয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। তবে সূত্র মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, সরকারের নিষেধ সত্ত্বেও গোপনে ভিন রাজ্যে আলু পাচার হচ্ছে। এবার মাঠে নামলেন কৃষিমন্ত্রী বেচারাম মান্না (Becharam Manna)। প্রয়োজনে রাতপাহারা দেবেন আলু পাচার রুখতে, এমনটা জানিয়েছিলেন।
{link}
ইতিমধ্যেই তিনি সারপ্রাইজ ভিজিটে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাঁতনে গিয়েছিলেন। বাংলা-ওড়িশা সীমানা দিয়ে প্রচুর পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করে। বুধবারও তাঁর সারপ্রাইজ ভিজিট দেওয়ার কথা ৷ তবে কোথায় হানা দেবেন, কখন হানা দেবেন সে-সব তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। তার এই তৎপরতায় কিছুটা ক্ষুন্ন বাংলার আলু ব্যবসায়ীরা। মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আলু পাচার না রুখতে পারলে রাজ্যে আলুর দাম কমানো যাবে না। তিনি বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বরের মধ্যে ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ২৯৪ মেট্রিক টন আলু বাইরে চলে গিয়েছে।
{link}
আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে রাজ্যে। রাজ্যকে বিপাকে ফেলতে এক শ্রেণীর আলু ব্যবসায়ী ধর্মঘট চালানোর কৌশল নিয়েছিলেন। মন্ত্রীর অভিযোগ, ভিন রাজ্যে আলু নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্মবিরতির নামে রাজ্য সরকারকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে মালদহের মাইতাপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি, কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা দিয়ে ব্যাপক আলু বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তা বন্ধ করতেই হবে।
{ads}