header banner

তৃণমূলের বুধ সভাপতির বাড়িতে বোমাবাজি, রাজনৈতিক চাপানউতোর উত্তপ্ত পরিস্থিতি

article banner

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর: ফের  উত্তপ্ত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। তৃণমূলের বুধ সভাপতি বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমাবাজি ঘটনায় কার্যত করে নতুন করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার সকালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে নন্দীগ্রামে ১ ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে নন্দীগ্রাম থানা বিশাল পুলিশ বাহিনী। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্বরা। 

{link}
স্থানীয় ও পুলিশ সূএের খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নন্দীগ্রামে ১ ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বুধ সভাপতি স্বপন বরের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে বোমাবাজি হয় অভিযোগ। শুধু তাই নয় দুষ্কৃতিকারীরা পরিবারের সদস্যদের খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বেরিয়ে পড়লে সেখান থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে হাজির হয় নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৃণমূল নেতার বোমাবাজি পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখেন পুলিশ আধিকারিকেরা। তৃণমূল গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বুধ সভাপতি স্বপন বরের বাবা জহরলাল কর বলেন " গভীর রাতে বাড়িতেই বোমাবাজি করে বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। ২০০৮ সাল থেকে আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করছি। কখনোও প্রধান ও  উপপ্রধান হয়েছি। গ্রামের বিজেপি নেতা শ্যামাপ্রসাদ মাইতি নেতৃত্বে এমন হামলা চালিয়েছে। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছি "।

{link}

যদিও তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমাবাজি অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে বিজেপি। তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ সভাপতি সাহেব দাস বলেন " মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৫৬ ভোটে হেরেছে শুভেন্দু বাবুর কাছে। এই হার কোনমতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। কুনাল ঘোষকে পাঠিয়ে নন্দীগ্রামে বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। শুধু নন্দীগ্রাম নয়, পূর্ব মেদিনীপুরে বিস্তীর্ণ এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কিভাবে তৃণমূলের মাটি ফিরে পাবে, বোম বন্দুক নিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে "। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন " এই যে ঘটনা ঘটেছে,  এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কোনোভাবেই যুক্ত নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কারণে এমন ঘটনা। শেখ সুফিয়ার ও বাপ্পাদিত্য কর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জেরে এমন ঘটনা। এখন তারা বিজেপির উপর চাপাচ্ছে "। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। 
{ads}

news Trinamool Congress Bombing politics সংবাদ

Last Updated :