গত ১১ই ডিসেম্বর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বঙ্গধ্বনির প্রচারে নামল দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বগণ। সারা রাজ্যের প্রায় চার হাজারেরও বেশি নেতৃবৃন্দগণ বঙ্গধ্বনি কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে রিপোর্ট কার্ড বিতরণের মাধ্যমে বিগত ১০ বছরের সাফল্যের কথা তুলে ধরবেন জনগণের সম্মুখে ।
শুক্রবার গ্রামীণ হাওড়ার আমতায় দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা নিজ নিজ বিধানসভা এলাকায় এই উদ্যোগের সূচনা করেন। এই প্রয়াসে সামিল ছিলেন মন্ত্রী ডঃ নির্মল মাজি, বিধায়ক পুলক রায়, ইদ্রিস আলি, অরুনাভ সেন এবং সমীর কুমার পাঁজা সহ আরও অনেক সম্মানীয় ব্যাক্তিবর্গরা। গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে এই কর্মসূচীতে যোগদান করেছিলেন পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিক, শ্যামপুরের বিধায়ক কালিপদ মণ্ডল এবং অন্যান্য ব্যাক্তিরাও। আমতার জয়পুর বাক্সী ব্রিজ থেকে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে কুলিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে পথে নামেন হাওড়া গ্রামীণের তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সুকান্ত পাল। অন্যদিকে, পূর্ব উলুবেড়িয়ার বিধায়ক ইদ্রিস আলী ফুলেশ্বর বাস স্ট্যান্ড থেকে চেঙ্গাইল পর্যন্ত দলের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গধ্বনির পদযাত্রায় সামিল হন। বাগনানের বিধায়ক অরুনাভ সেনও সেদিন বাগনান মুরালি থেকে হাজার দুয়েক কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মানকুর মোড় পর্যন্ত পায়ে হেটে স্থানীয় জনগণের সম্মুখে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন এবং সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।

প্রত্যেকেই শুক্রবার প্রথমে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেদের কর্মসূচীর বিষয়ে সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা দেন এবং পরবর্তীকালে বিভিন্ন মিছিল এবং সভার মাধ্যমে গত ১০ বছরের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড মানুষের হাতে তুলে দেন। বিধানসভা নির্বাচন প্রায় রাজ্যের দোর গোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে এবং বিগত কিছুদিনের রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে দলের অন্দরে বহু পরিবর্তনও লক্ষ্য করা গেছে। সেই দিক থেকে বিচার করলে, এই মূহূর্তে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বঙ্গধ্বনি কর্মসুচী নিঃসন্দেহে জনমত বোঝার মোক্ষম উপায় হতে পারে বলে অনুমান করা যায়।