শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের। ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন কাণ্ডে লোকপালের নির্দেশে বহিষ্কৃত এই সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। লোকপালের নির্দেশিকায় মহুয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, আমরা সিবিআইকে ২০ (৩-এ) ধারার অধীনে অভিযোগের সমস্ত দিক নিয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দিচ্ছি। এই নির্দেশ পাওয়ার দিন থেকে ছমাসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতি মাসে তদন্তের অগ্রগতির পর্যায়ক্রমিক প্রতিবেদনও দাখিল করবে।
{link}
উনিশের লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন মহুয়া। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া। নিশানা করেছেন শিল্পপতি গৌতম আদানিকে। অভিযোগ, এসবই করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য। তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানান সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। মহুয়ার প্রাক্তন বান্ধব জয় অনন্ত দেহাদ্রাই বিভিন্ন অভিযোগে মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিও জানান জয়।
{link}
হীরানন্দানি নিজেও হলফনামা দিয়ে জানান, মহুয়ার সংসদের লগ ইন আইডি জেনে তাতে প্রশ্ন টাইপ করতেন তিনি। যদিও ঘুষের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। নিজের লগ ইন আইডি দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ মানেননি মহুয়াও।ঘুষ নিয়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়াকে তলব করে লোকসভার এথিক্স কমিটি। এই কমিটির সুপারিশেই সাংসদ পদ খারিজ করা হয় মহুয়ার। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেত্রী। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলে লোকসভার সচিবালয়। জানিয়ে দেয়, সংবিধানের ১২২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনসভার অভ্যন্তরীণ কর্ম পদ্ধতিতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না বিচারবিভাগ।
{ads}