header banner

বামেদের লড়াই অব্যাহত

article banner

অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি পর্ব চলছিলো এসএফআই এর নবান্ন অভিযান নিয়ে। “১১ই ফেব্রুয়ারি নবান্নে অভিযান”  লেখাটি দেখতে পাওয়া যাচ্ছিলো বিভিন্ন স্থানে, দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে ব্যানার ও পোস্টার দেখা যাচ্ছিলো রাজ্যের বিভিন্ন কোনায়। শিক্ষা, খাদ্য, বস্ত্র ও সর্বোপরি উন্নয়নের দাবিতে লালেদের আজকের এই আন্দোলন। ছিল স্লোগান “ফেরাতে হাল, ফিরুক লাল”। কিন্তু বামেদের নবান্ন অভিযানে চলল পুলিশের লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে একাধিক নির্যাতন। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের একধিকজনকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। তাদের এখনো পর্যন্ত রাখা হয়েছে পুলিসি হেফাজতে। শুধু লাঠি চার্জই নয় জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসও ব্যাবহার করতে হয় পুলিশকে। গলায় বাঁশি, হাতে লাল কার্ড, পায়ে বল এবং সাথে প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে দেখা গেল আন্দোলনকারীদের। প্রবল অশান্তির মাঝেও একরোখা হয়ে টিকে ছিল বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের কর্মীরা। বেশ কয়েকজন একেবারে আচমকাই নবান্নর সামনে চলে আসেন এবং বিক্ষোভ দেখাতে গেলে পুলিশ আটকাতে বাধ্য হয়। এছাড়াও একাধিক জায়গায় পুলিশের সাথে বিভিন্ন গণ্ডগোলের চিত্র দেখতে পাওয়া যায়।  

যাতে মিছিলে কোনোরকম গণ্ডগোল না বাঁধে তার জন্য সকাল থেকেই সবরকমের ব্যাবস্থা নিয়েছিলো প্রশাসন। সকাল থেকেই ব্যারিকেড  দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল হাওড়া শহরের বিভিন্ন জায়গা ও নবান্ন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আট থেকে আশি সবাই দলে দলে যোগদান করেছে এই আন্দোলনে। আন্দোলনকারীদের অনেকেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছিলো, আবার একাংশ শান্তির সাথেই তাদের দাবি তুলে ধরেছে। তবে সবশেষে একটা কথা বলা যেতে পারে বামেদের এই নবান্ন অভিযান, এবং দলে দলে লোকের সেখানে যোগদান রাজনৈতিক মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে দিনের পর দিন বিজেপি ও তৃণমূলের লড়াই এর মাঝে লালেদের আন্দোলন এই লড়াইতে এক অন্য মোড় আনতে চলেছে? কতোটা সার্থক হবে তাদের এই “নবান্ন অভিযান” এটাই এখন দেখার বিষয়।

{ads}    
 

CPIM SFI Nabanna Rally Protest Politics Movement Campaign West Bengal India

Last Updated :