কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরের সামনে ফের বিক্ষোভ সৃষ্টি করলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বুধবার দুপুর থেকে শুরু করলো বিক্ষোভ। স্টুডেন্ট ইনিউয়নের পক্ষ থেকে করা হল এই অবস্থান বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্টুডেন্ট ইউনিয়নের প্রধান আহ্বায়ক অনিক দে। তারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে অবশেষে এই বিক্ষোভ করতে শুরু করেছেন। স্টুডেন্ট ইউনিয়নের মূল আহ্বায়ক অনিক দে, যানান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত অনেক কলেজ আছে যেখানে পড়ুয়া সংখ্যাও যথেষ্ট বেশি। করোনা আবহয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়, আর তারপরই এর অন্তর্ভুক্ত কলেজ গুলি থেকে উঠে আসছে অনেক সমস্যা। যেমন ইতিমধ্যে পরীক্ষা নিতে বলা হলেও অনেক কলেজগুলিতে এখনও নেওয়া হয়নি অনলাইন পরীক্ষা। আবার কোন কোন কলেজে নেওয়া হয়েছে মৌখিক পরীক্ষা।আবার রেজাল্ট বেরোনো নিয়েও নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের।কোন কোন কলেজেতো রেজাল্টই বের করা হয়নি এখনও পর্যন্ত, আবার যেখানে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল সেখানে রেজাল্টে কোথাও শূন্য বা কোথাও এক-দুই নাম্বার এসেছে, আবার কোথাও ছাত্র-ছাত্রীদের রেজাল্টে অনুপস্থিত লিখে দেওয়া হয়েছে, যেখানে তারা পরীক্ষার দিন উপস্থিত ছিলো এবং সঠিক উপায় পরীক্ষাও দিয়েছিলো।বিক্ষোভকারীরা উদাহরণস্বরুপ কতগুলি কলেজের নামও তুলে ধরেছেন। ফকির চাঁদ কলেজ, জয়পুরিয়া কলেজ, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ সহ আরও কলেজ। এইগুলিতে সমস্যা সবচেয়ে বেশি করে দেখা দিচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি কলেজের উপাচার্য তাদের সাথে সসরাসরি কথা বলুক।তাদের সমস্ত রকম দাবীগুলো জানাতে চান উপাচার্যকে।যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা, সেগুলো অবিলম্বে মিটিয়ে ফেলতে।কিন্তু সুত্রে খবর, অনেকের মতে স্টুডেন্ট ইউনিয়নের ছাত্র-ছাত্রীরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট ভেঙে প্রবেশ করেছে,এবং যথারীতি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছেন এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাদের নামে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে।এর পাশাপাশি ওনারা পাল্টা প্রশ্ন করেন যে ওনারা সবাই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র-ছাত্রী, তাহলে কেন তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হবে। এইগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। তারা শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীরা যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তা যতদ্রুত সম্ভব সমাধান করতে চান।এবার দেখার বিষয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কি ন্যায্য ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।