শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : গাজন উৎসবকে চড়কের উৎসব বলা হয়। চড়ক শব্দটি এসেছে ‘চক্র’ বা ঘূর্ণন থেকে। একটি মোটা কাঠের খুঁটি যেটাকে বলা হয় চড়ক গাছ। সেটাকে মাটিতে পুঁতে তার উপরে নাগোর দোলনার মত সমান্তরালে সন্ন্যাসীদেরকে ঝুলিয়ে ঘোরানো হয়, আর সন্ন্যাসীরা উপর থেকে বাতাসা, জিলিপি ইত্যাদি ছড়াতে থাকে।
{link}
চড়ক উৎসবের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায়, তান্ত্রিক ক্রিয়া থেকেই পরবর্তী কালে উদ্ভব চড়ক পুজোর। চড়ক পুজোয় যোগদানকারী সন্ন্যাসীরা তান্ত্রিক সাধনা অভ্যাসের ফলে নিজেদের শারীরিক কষ্টবোধের ঊর্ধ্বে যান, তার ফলে চড়কের মেলায় নানা রকম শারীরিক কষ্ট স্বীকারে তাঁরাই অগ্রণী হয়ে ওঠেন। পরে এই সাধনপদ্ধতিগুলি শিবের গাজনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত হয়ে যায়। পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার তমলুক (Tamluk) থানার অন্তর্গত মিরিকপুর গ্রামে প্রায় শতাব্দি প্রাচীন গাজন উৎসব বসে।
{link}
গাজন উৎসব শতাব্দী প্রাচীন হলেও চড়ক মেলার আয়োজন প্রায় ৬০ বছর ধরে হয়ে চলছে। এ বিষয়ে গ্রাম কমিটির সম্পাদক গোপালচন্দ্র দে জানান, ‘বহুদিন ধরে চলে আসছে এই গ্রামের গাজন উৎসব এবং চড়ক মেলা।' আশেপাশের এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষ এই মেলায় উপস্থিত হয়। পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে সুনির্দিষ্ট নিয়ম কানুন মেনেই চড়ক পুজো ও মেলার আয়োজন করা হয়। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মিরিকপুর গ্রামে নয় এর পাশাপাশি তমলুকের নানা প্রান্তে ও জেলার নানা প্রান্তে চড়ক উৎসব এবং মেলার আয়োজন হয় প্রতিবছরই।
{ads}