শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) একই পরিবারের বাবা ও পুত্রকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। সেই খুনের অপরাধে পুলিশ এখন পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে। সেই চারজনই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। অথচ প্রথম দিন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী কখনো ভিনরাজ্য আবার কখনো বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
{link}
সোমবার সেই তত্ত্বই শোনা গেলো মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। তিনি বলেন, হিংসার যে ঘটনা ঘটেছে তা পূর্বপরিকল্পিত। বাইরে থেকে লোক এনে ধর্মের নামে কেউ কেউ ভুল কথা প্রচার করছে। তার জন্য মানুষ প্ররোচিত হয়েছে। সেই কারণেই এমন ঘটনা। মমতা স্পষ্ট জানান, মুর্শিদাবাদের প্রকৃত তথ্য তাঁর কাছে আছে। দ্রুত সত্য সামনে আসবে। ধর্মীয় জিগির তুলে কয়েকজন ধর্মীয় নেতা সেজেছে। এরা পালে বাঘ না পড়লেও বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করে রাজনৈতিক সুবিধা নেয়। এরা আসলে গৃহশত্রু। সাফ কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে তাঁর ইঙ্গিত বিজেপির দিকে।
{link}
তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে, মুর্শিদাবাদের ইতিহাস আছে। এটা বাংলার রাজধানী ছিল। মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গণ্ডগোল কারা করিয়েছে, সবাই জানে। এরা নাকি ধর্মের নেতা! মুর্শিদাবাদে কী হয়েছিল আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে। তবে আরও বেশ কিছু প্রমাণ হাতে আসবে। তারপর সব সকলের সামনে তুলে ধরব। বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য একাধিক রাজ্যে নানা ঘটনা ঘটে। মণিপুর, রাজস্থান, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রের কোনও প্রতিনিধি যায়নি। তবে বাংলায় কিছু হলেই কেন একদিনের মধ্যেই সব চলে আসে? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর অভিযোগ, একেবার পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ধর্মের নামে কিছু বহিরাগত ভুল কথা ছড়িয়েছে। আর কিছু লোক প্ররোচিত হওয়ার ফলে এক গোষ্ঠীর সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর গন্ডগোল লেগেছে।
{ads}