header banner

মানুষের সেবায় মৃত্যুবরণ

article banner

করোনাকালে আর্তের পাশে দাঁড়ানোর নজির গড়েছে CPIM-এর রেড ভলান্টিয়ার্স। কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকায় দায়িত্ব ভাগ করে ৮৩ জন তরুণ-তরুণীকে নিয়ে ওই বাহিনী তৈরি করা হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের সময়ে শ্রমজীবী ক্যান্টিন, সস্তায় বাজার-সহ যে সব কাজে বামেরা হাত লাগিয়েছিল। এই যেখানে বামেদের হাল, সেখানে আদর্শের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন রেড ভলান্টিয়ার্সরা।

{link}


তবে এই আদর্শ আঁকড়ে মারণ ভাইরাসে বলি রেড ভলান্টিয়ার বছর বত্রিশের শ্রীবাস হালদার। বাম মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছিলেন তিনি। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে কোনও প্রয়োজনে সাধারণ মানুষ ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ছুটে যেত শ্রীবাস। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত বাম কর্মী-সমর্থকরা। 

{link}


শ্রীবাস হালদার নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দিন কয়েক আগে। অসুস্থতা উপেক্ষা করেই করোনা সংক্রমিতদের জন্য ব্যবস্থা করেছেন বেড-অক্সিজেন-খাবার। নিজের অসুস্থতাকে উপেক্ষা করার মাশুল গুণতে হল রেড ভলান্টিয়ার শ্রীবাসকে। বাম সূর্য অস্ত গিয়েছে কবেই। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হলেও, দরকারে তাদের পাশে পেয়েছে  মানুষ। গতবছর লকডাউনের সময় এঁরাই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য খাবার জুগিয়েছেন শ্রমজীবী ক্যান্টিনের মাধ্যমে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কত অভুক্তের যে পেট ভরিয়েছে এই ক্যান্টিনের হেঁশেল, তার ইয়ত্তা নেই। 

{link}


সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে গোহারা হেরে যাওয়ার পরে রেড ভলান্টিয়ার্স তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন কোনও কোনও বাম নেতা। গাইঘাটা পশ্চিম অঞ্চলের বছর বত্রিশের শ্রীবাস হালদারও বাকিদের সঙ্গে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বিপন্নের পাশে দাঁড়াতে। নিজের অসুস্থতাকে উপেক্ষা করার মাশুল গুণতে হল রেড ভলান্টিয়ার শ্রীবাসকে। মাত্র বত্রিশেই দাঁড়ি পড়ে গেল যাঁর জীবনে।

{ads}
 

Corona Virus Covid-19 CPIM Red Volunteer West Bengal 22nd May India সংবাদ কোভিড রেড ভলেন্টিয়ার্সকরোনাকালে আর্তের পাশে দাঁড়ানোর নজির গড়েছে CPIM-এর রেড ভলান্টিয়ার্স। কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন

Last Updated :