অবশেষে বহু অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এলো ভ্যাকসিন কিন্তু আদৌ কি ঘটলো অবসান? কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছে গেছে করোনা ভ্যাকসিন। কিন্তু এই করোনা ভ্যাকসিন যে আশার আলো নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল তা এখন মানুষের কাছে হয়ে উঠেছে আশঙ্কাজনক বিষয়। করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ভীত ও সন্ত্রস্ত সাধারণমানুষ। সিউড়ি সদর হাসপাতাল থেকে বাঁকুড়া জেলায়ে নিয়ে আসা হয়েছে প্রায় সাড়ে এগারো হাজারের বেশি ভ্যাকসিন। অন্যদিকে প্রায় সাড়ে দশ হাজারের মতো ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে। প্রত্যেক হাসপাতালে টিকাকরণের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। সিউড়ি সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতালে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৭০০ জনের মতো এবং রামপুরহাটে ৫০০ জনের মতো। মোট ৭টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়াকে।
কিন্তু মানুষের মনে ভ্যাকসিন সম্পর্কিত যে ভুল ধারনা তৈরি হয়েছে, তার ফলে অর্ধেকের বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নেওয়া থেকে বিরত থাকছেন। ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মানুষ বেরিয়ে আসতে পারছেননা ভুল ধারনা থেকে। মানুষ যদি এই মুহূর্তে সজাগ না হয় তাহলে কোনমতেই মানুষকে দিয়ে গ্রহন করানো যাবে না এই ভ্যাকসিন আর তা হলে ঘটবে আরও এক বিপদ। এর জন্য চাই সঠিক প্রচারের। করোনা ভাইরাসের সময় যেমনভাবে প্রশাসন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ এগিয়ে এসেছিল প্রচারে ঠিক তেমনটাই আবার দরকার করোনা ভ্যাকসিনের জন্যও। বীরভূমের সি এম হিমাদ্রি আলি জানিয়েছেন প্রতিটি ক্লাব, প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও প্রতিটি হাসপাতাল যদি যথেষ্ট প্রচার করে তাহলেই সাধারণ মানুষ অনেক সজাগ হবেন এই বিষয় এবং ওনারও সকলকে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষ্ম হবেন। এছাড়াও বলেন যে, যদি সাধারণ মানুষকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে হাসপাতালে বা ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারে আনা সম্ভব হয় তাহলেই তাদের মধ্যের ভীতি দূর হবে।
আজ বীরভূমের সিউরি সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতালে অভিজিৎ মণ্ডল নামে এক স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। ওনার অনুমতি নেওয়ার পরই ওনাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। উনি সিউড়ির এক বেসরকারি আই কেয়ার সেন্টারে কর্মরত। তাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় ওখানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আরি সহ সদর হাসপাতালের সুপার এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মীরা।
করোনা ভাইরাস কেড়ে নিয়েছিলো মানুষের রাতের ঘুম।সাধারণ মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত ছিল এই ভ্যাকসি
নের জন্য। অনেক প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে আজ সেই ভ্যাকসিন মানুষের দ্বারে। তা সত্তেও হাজার মানুষ কেন ভিত? যা রটে তার কিছুটাও বটে কথাতেই আছে ,তাহলে কি সত্যিই ভ্যাকসিন মানুষের জন্য সুরক্ষিত নয় নাকি শুধুই রটেছে? প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যাচ্ছে।

.jpeg)