শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ঘটনা আমাদের শঙ্কিত করেছে। সেখানে কিছু মুসলিম আক্রান্ত হলেও আক্রমনের মূল টার্গেট ছিল হিন্দুরা। প্রসঙ্গত সমস্ত মুর্শিদাবাদে ৩০ শতাংশের কম হিন্দু। কোনো কোনো সীমান্ত অঞ্চলে সেটা ২০ শতাংশ থেকেও কম। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি খুবই তাৎপর্যপূর্ন।
{link}
"যে সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় ২০ শতাংশেরও কম হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন তাঁদের সুরক্ষায় বৈধ অস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়া হোক।” এমনটাই দাবি করছেন তিনি। শুভেন্দুর সাফ কথা, “বিএসএফ-সিআরপিএফ সব সময় থাকে না। বাংলাদেশ থেকে যে ৫০ কিলোমিটার বর্ডার এলাকা রয়েছে, যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা ২০ শতাংশের কম, তাঁদের কাশ্মীরের পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকার মতো বৈধ লাইসেন্স যুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া উচিত। কারণ, আত্মরক্ষার অধিকার প্রত্যেকের আছে।”
{link}
শুভেন্দুর এই দাবি নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়েছে। প্রত্যেকের আত্মরক্ষার অধিকার আছে এটা যেমন ঠিক তেমনই অস্ত্র থাকলে গন্ডগোল বাধার সম্ভাবনাও বেশি। এখানেই না থেমে শুভেন্দুর আরও ব্যাখ্যা, “কাশ্মীরে তো বর্ডারের বহু গ্রামে এই ব্যবস্থা আছে। স্পেশ্যাল এক্টের আওতায় তো আছে। কাশ্মীরের মতো একই মডেল মুর্শিদাবাদে না করতে পারলে ১০-১৫ শতাংশ হিন্দু যেখানে আছে তা থাকবে না।” তিনি বলেন এটা না করতে পারলে পুরো মুর্শিদাবাদ একদিন সংখ্যালঘুদের হাতে চলে যাবে। সেখানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বেড়েই চলবে। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিনে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায়। হিংসার আগুনে জ্বলে সামশেরগঞ্জ, সুতির মতো এলাকা। ঝরেছে প্রাণ।
{ads}