নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়াঃ হাওড়ায় ক্রমশ চওড়া হচ্ছে ডেঙ্গির থাবা। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সাথেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গিতে প্রাণহানিও। এবারে হাওড়া পুরনিগমের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেলগাছিয়া 'এফ' রোডের বাসিন্দা ১১বছরের শুভম সরকারের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। যদিও হাসপাতাল থেকে এখনও পর্যন্ত পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি ডেথ সার্টিফিকেট। এলাকার মানুষের অভিযোগ আগে নিয়মিত সাফাই না হলেও এই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় নিয়মিত সাফাই ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করেছেন পুরকর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরো অভিযোগ, সামনের বড় রাস্তায় সাফাইয়ের কাজ করলেও তাদের এলাকা নয় বলে রাস্তার দুই পাশের গলিতে সাফাই কাজ করত না পুরকর্মীরা।
{link}
প্রসঙ্গত গত ১৫ই আগস্ট পুরসভার এই ৮ নম্বর ওয়ার্ডেই দাসনগর শিয়ালডাঙায় মিলন রিত(২২) নামে এক যুবকের ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়। তারপরেই গত ৩১শে আগস্ট দাসনগরের নেতাজীগড়ে 'পি' রোডে অক্ষয় মজুমদারের(৩৭) ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়। এছাড়াও হাওড়া পুরনিগমের বিস্তীর্ণ এলাকায় বহু মানুষ এখনও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও সাধারণ মানুষের অভিযোগ। ডেঙ্গু আক্রান্তের ঘটনা এবং একের পর এক মৃত্যুতে আতঙ্কে রয়েছেন হাওড়া পুরো নিগমের একাধিক ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। যদিও পুরনিগমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ডেঙুর সংক্রমণ রূখতে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে সাফাই বিভাগে। পাশাপাশি মশার লার্ভা ধ্বংস করতে অতিরিক্ত লার্ভিসাইড ওয়েল স্প্রে করার জন্যেও অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগ করেছে হাওড়া পুরনিগম। আগামী দিনে হাওড়া পুরনিগমের ৫০টি ওয়ার্ডে নিজেই ঘুরে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরিকল্পনা নিতে চলেছেন হাওড়া পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক। কবে বন্ধ হবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু, কবেই বা স্তব্ধ হবে আক্রান্ত বৃদ্ধির সংখ্যা? তার জবাব নেই পুরসভার কাছে। ধৈর্য ধরার অনুরোধ করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। প্রশাসনের তরফ থেকে দ্রুত সমস্যা সমাধানারের চেষ্টাও করা হচ্ছে। কিন্তু তার মাঝেই স্বজন হারাচ্ছেন একাধিক মানুষ। সমস্যার সমাধান দ্রুত না হলে, আবারও মৃত্যুশোক নেমে আসতে পারে যে কোন পরিবারে। সেই শঙ্কাতেই রয়েছেন হাওড়ার পুরবাসীরা।
{ads}