শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার বিভিন্ন গ্রামে প্রচলিত আছে বিভিন্ন সংস্কার। এই সমস্ত নতুন সংস্কারের অধিকাংশই সৃষ্টি হয়েছে মধ্যযুগে ও স্থানীয় প্রয়োজন অনুযায়ী। যেমন দেখা যায় বাঁকুড়ার রামকানালি গ্রামে। জঙ্গলে ঘেরা বাঁকুড়ার রামকানালি গ্রাম। যখন-তখন হাতির হানা। আর তাতেই আতঙ্কিত এই গ্রামের বাসিন্দারা। ক্ষতিগ্রস্থ হয় ফসল। তাই গজরাজ অর্থাৎ হাতি এবং মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করতে লক্ষ্মীপুজোর দিন এখানে দু’জনকেই পুজো করা হয়। দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে পূজিত হন হস্তি।
{link}
সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হল, দেবী এখানে পেঁচার বদলে গজে অধিষ্ঠিতা। অর্থাৎ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেবীর বাহন হিসাবে সঙ্গে থাকে সাদা পেঁচা। কিন্তু, এই গ্রামে দেবীর বাহন হাতি। বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের এই গ্রামের স্থানীয়রা ১২৩ বছরের এই পুজোর নাম দিয়েছেন গজলক্ষ্মী পুজো। স্থানীয়দের মতে, শত বছর আগে এই গ্রামের চারপাশের জঙ্গল আরও ঘন ছিল। সেখানে মাঝে মধ্যেই হাতির হানা হত। প্রচুর ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হত। ক্ষেতের ফসলকে লক্ষ্মীরূপে যাতে নির্বিঘ্নে তুলে আনা যায়, তার জন্য গজরাজকে শান্ত করার প্রয়োজন ছিল। সেই কারণেই লক্ষ্মী দেবীর সঙ্গে সঙ্গে হাতির পুজোও শুরু হয় এই গ্রামে। এখন জঙ্গল অনেক কমে গিয়েছে, কিন্তু বছরের পর বছর বংশ-পরম্পরায় চলে আসা এই পুজো আজও আগের মতোই হয়ে আসছে।
{ads}