বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার তালডাংরার বিবড়দা হাট তলা ময়দানে এক জনসভায় ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। সভায় তিনি বলেন, নির্বাচনের পরে পঞ্চায়েতের লুঠের টাকার হিসেব হবে। হিসেব হবে একশো দিনের কাজের টাকা লুঠের। যারা এভাবে লুঠ করেছে তাদের বাঁকুড়া জেলে জায়গা হবে। বড়রা সেন্ট্রাল জেল ও বিধায়ক সাংসদদের জায়গা হবে ভূবনেশ্বরে। ঠিক যেভাবে সুদীপ ও তাপসকে পাঠানো হয়েছে।
জনসভার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, যারা সিবি, ইডির ভয় পাচ্ছেন তারাই জেলে যাওয়ার কথা বলছেন। এর পিছনে নিশ্চই কোন কারণ আছে। যাদের জেলে যাওয়ার ইচ্ছা আছে তারা যাবেন। উত্তরবঙ্গে এদিন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে গেলে দম লাগে, তার আগে ঐ দলটাই না উঠে যায়। ‘চোর গুণ্ডারা বিজেপিতে যাচ্ছে’, নাম না করে দিলীপ ঘোষকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন। সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, আমি তো গুণ্ডা আছি, গুণ্ডামি করলে আমিও সাধারণ মানুষকে নিয়ে গুণ্ডামি করবো। অত্যাচারিত মানুষের হয়ে কথা বলি। রাজ্য বিধানসভার অনাস্থা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, যেভাবে সকাল বিকাল তৃণমূল ভাঙ্গছে, তাতে সবই সম্ভব বলে তিনি জানান।
ক্রমশ তৃনমূলের ভাঙতে থাকা শক্ত ভিতকে নিজের বাক্যবানের মধ্যে দিয়ে প্রতিনিয়ত বিদ্ধ করে চলেছেন রাজ্য বিজেপির পরিচিত এই মুখ। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত যে মুখটিকে কেউ চিনতেনও না, সেই মুখই আজ রাজ্যে রাজনীতির সিংহ হয়ে উঠেচেন। ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে দল, যার ফলে জেতার আত্মবিশ্বাস ও গলার তীব্রতাও দ্বিগুণ ছাড়িয়ে প্রায় চৌগুন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এখন এই তীব্রতা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেও তিনি বজায় রাখতে পারেন কি না, তাই লক্ষ্যনীয় বিষয়।
.jpeg)