আজ সকালে দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আমিত শাহের সাথে বৈঠক সেরে এলেন, কিন্তু তা দলের রাজ্য সভাপতিকে ছাড়াই। তাহলে কী দলে ক্রমেই গুরুত্ব কমছে দিলীপ ঘোষের! রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের এক অংশের মতে আজ রাজ্যে বিজেপির এই উত্থান সম্ভব হয়েছে তার কারনেই। সময়ের ফের আজ, সেই দিলীপই গুরুত্ব হারাচ্ছেন তার দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে?
{link}
মঙ্গলবার হেস্টিংসে বৈঠকে বসেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ওই বৈঠকে যা নজর কেড়েছে, তা হল বিজেপির তিন বড়ো নেতার অনুপস্থিতি। এই তিনজন হলেন, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যার মধ্যে রাজীব এবং মুকুল কলকাতায় রয়েছেন। তার পরেও না আসায় দলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। করোনা সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মুকুলের স্ত্রী। তাই তাঁর না আসার একটি ব্যাখ্যা মেলে। কিন্তু ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব কেন বৈঠকে যোগ দেননি, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কি আবার পুরোনো দলমুখী রাজীব?
আবার অন্যদিকে বৈঠক রয়েছে জেনেও দিল্লি চলে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সকালে তিনি বৈঠক করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে। বিকেলে বৈঠক করার কথা জেপি নাড্ডার সঙ্গে। আগামীকাল, বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা তাঁর। অথচ এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, শুভেন্দু তো জানেন মিটিং রয়েছে। তাও দিল্লি গিয়েছে। কেন গিয়েছে, জানি না। দিল্লির নেতারা বলতে পারবেন। অর্থাৎ একথা পরিস্কার যে ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে অসন্তোষের আগুন দানা বেঁধেছে।
{link}
দিলীপকে অন্ধকারে রেখে শুভেন্দুকে জরুরি তলব করে ডেকে নিয়ে গিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে অশনি সংকেত দেখছেন বিজেপির একাংশ। তাঁদের অনুমান, রাজ্যে দলের হাল ফেরাতে শুভেন্দুকে সংগঠনের কোনও বড় পদে বসানো হবে। দিল্লি থেকে ফিরে কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন শুভেন্দু? তবে কি দিলীপের পদ পেতে চলেছেন তিনি? আশঙ্কা সত্যি হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
{ads}