চুমকী সূত্রধর
করোনাকে হার মানিয়ে ফের যোগাসনে মত্ত বিজেপির রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ। আজ শনিবার সকালে ইকোপার্কে যোগাসনে করতে দেখা যায় তাকে। কিছুদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
২০২১এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পারদ চড়তে শুরু করেছে বাংলার রাজ্য রাজনীতিতে। বাংলা দখলের লড়াইয়ে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব। যেকারণেই শারদ উৎসব শেষ হতে না হতেই এই রাজ্যে সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে এবং নির্বাচনের পর্যালোচনা করতে এই রাজ্যে আসছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আমিত শাহ। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে লড়তে চাইছে বিজেপি। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের ভোটে এই রাজ্যে অনেকটাই এগিয়ে আছে বিজেপি। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক অস্ত্রকে ভোঁতা করা আর অন্যদিকে বিজেপির রাজনৈতিক অস্ত্রতে শান দিতে আমিত শাহ-এর এই বাংলা সফর।
.jpeg)
আজ দিলীপ বাবু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আগামী ৫ ও ৬তারিখ কলকাতায় আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৫তারিখেই রয়েছে রাঢ বাংলা এবং মেদিনীপুরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক । পরের দিন ৬ তারিখের বৈঠক কলকাতা এবং নবদ্দীপ বিজেপির কর্মকর্তাদের সঙ্গে।অন্যদিকে জেপি নাড্ডা যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ সফরে। তবে কবে কোথায় বৈঠক হবে তার এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। দিলীপ বাবু জানিয়েছেন আগামী দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
২০১৯ সালের ভোটের ফলাফলে উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলে ভালো ফল করেছে বিজেপি। সেই জমি ধরে রাখতে চাইছে বিজেপি। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা এবং কলকাতায় জমি মজবুত করতে চাইছে বিজেপি। অন্যদিকে, টি এম সি হারানো জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় ময়দানে নেমেছে কোমর বেঁধে। সেই সঙ্গে তাদের হাতে থাকা জমি যাতে বাইরে না যায় তাঁর জন্যে প্রাণ পণ চেষ্টা করছে তৃণমূল। তবে এই বঙ্গে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে ই ভি এম এ যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে তার জন্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঝাঁপিয়ে পড়েছে। নির্বাচনের প্রাক্কালে সংগঠনকে মজবুত করাটাই এখন বিজেপির প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য।