সুদেষ্ণা মন্ডল, গঙ্গাসাগর: অপেক্ষার অবসান আজ থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৩ আর গঙ্গাসাগর মেলার আগে যাত্রী পারাপার নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাত ১০ টার সময় দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ঘাট থেকে বেনুবনের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থীদের নিয়ে ছটি লঞ্চ রওনা রওনা দেয়। রাতে দুর্ঘটনা এড়াতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ও রাজ্য পরিবহন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে রাত্রি দশটার পর ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। তার কারণ হিসাবে জানানো হয়েছিল বিভিন্ন জায়গায় নদীর নামব্রতা কমে গিয়েছে। নদীর চড়াই লেগে দুর্ঘটনা যাতে না হয় সেই জন্য সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল রাত্রি দশটার পর কোন প্রকার ফেরি সার্ভিস চলাচল করবে না নদীতে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে গঙ্গাসাগর মেলা শুরুর আগেই রাতে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রী পারাপার করানো হলো।
{link}
ইতিমধ্যেই সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে গতকাল রাতে যে ছটি লঞ্চ নামখানা ঘাট থেকে গঙ্গাসাগরের চেমাগুরি ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাত্রী পারাপার করেছিল সেই সকল লঞ্চের চালকদের ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেই নিষেধাজ্ঞা কেনই বা পালন হলোনা এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। গঙ্গাসাগর মেলার সময় বিভিন্ন ফেরিঘাট গুলিতে কড়া নিরাপত্তা দেখা যায় কিন্তু নিরাপত্তার সেই ঘেরাটোপ এড়িয়ে কিভাবে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে নামখানার ফেরিঘাট থেকে ছটি লঞ্চ পুণ্যার্থী নিয়ে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে কিভাবে রওনা দিল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
এক পুণ্যার্থী জানান, সোমবার রাত্রি দশটার সময় নামখানার বেনুবন থেকে বেশ কয়েক জন যাত্রী নিয়ে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বেশ কয়েকটি লঞ্চ। রাতে লঞ্চ সার্ভিস চালু রাখার জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হয়। রাতে লঞ্চ চলাচল করার জন্য প্রায় সময় বড়সড় দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হয় লঞ্চগুলিকে। রাতে দৃশ্যমানতার অভাবে উল্টো দিক থেকে আসা বোঝায় লঞ্চ গুলিকে সহজে বোঝা যায় না এর ফলে প্রায় সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকে। দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের তরফ থেকে কড়া নির্দেশ জারি করা হয়েছিল যে রাতে কোন প্রকার ফেরি সার্ভিস পরিষেবা চালু থাকবে না। কিন্তু প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কিভাবে ছয়টি লঞ্চ নামখানা ঘাট থেকে রওনা দিল এক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনার পর তদন্ত শুরু করেছে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ।
{ads}