শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : কালী পুজোর আগে আবারও ভাসতে চলেছে বাংলা , এমনটাই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এবং তার জেরে ঘূর্ণাবর্ত। ঘূর্ণাবর্তর প্রভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ রাজ্যের বিভিন্ন উপকূল তীরবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জানিয়েছে হাওয়া অফিস । আর তাই ঘূর্ণিঝড় দানার আতঙ্কে ইতিমধ্যেই রাতের ঘুম উড়েছে সাগরদ্বীপের বাসিন্দাদের।
{link}
ইতিমধ্যেই সাগর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজনদের মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্ক করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়া ফেরিঘাটে সাগর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা, মাইকিং করে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য সতর্কীকরণ বার্তা দেয়া হচ্ছে। যে সকল মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান তাদেরকে অবিলম্বে বন্দরে নিরাপদে ফিরে আসার জন্য নির্দেশ জারি করেছে মৎস্য দপ্তর। এছাড়া সমুদ্র ও নদী উত্তাল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সেই জন্য ফেরিঘাট গুলিতে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে সাগরদ্বীপের এক বাসিন্দা সাথী মিত্র জানান, সাগরদ্বীপের চারদিকে নদী এবং সমুদ্র বিস্তৃত এলাকা। সাগরদ্বীপের যে সকল নদী বাঁধগুলি রয়েছে সে সকল বাঁধগুলির বেহাল দশা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনরকম মেরামতির কাজ হয়নি। এবার জানিনা এই ঘূর্ণিঝড় যদি সাগরদ্বীপের কাছে আছড়ে পড়ে তাহলে আমাদের কি অবস্থা হবে। আমরা কোথায় গিয়ে থাকবো তা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে আমাদের এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় এলে সাগরদ্বীপের চাষীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। সাগর ব্লকের মধ্যে ছোট্ট একটি দ্বীপ ঘোড়ামারা। এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে ঘোড়ামারা দ্বীপের অবস্থা খুবই শোচনীয় হবে। ইতিমধ্যে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে এলাকাবাসীদের এবং উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষদের নিরাপদে উঁচু জায়গায় কিংবা ফ্ল্যাট সেন্টারে আশ্রয় নেওয়ার কথা জানানো হচ্ছে।
{link}
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হচ্ছে । বিভিন্ন ত্রাণ শিবির খুলে দেওয়া হয়েছে ।এলাকার বেশ কিছু স্কুলও খুলে রাখার কথা বলা হয়েছে । মজুদ রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল এবং শুকনো খাবার। চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দলকে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বলা যায় এই মুহূর্তে দানার আতঙ্কে কাবু সাগরদ্বীপের বাসিন্দারা।
{ads}