প্রকাশিত নির্ঘন্ট, রাজ্যে বেজে উঠেছে ভোটের দামামা। একুশের লড়াইয়ে বহু আগে থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছিল রাজ্যের রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। শুরুতেই চমক দিয়ে বিজেপি কার্যত এক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে এবারের নির্বাচনে। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন কার্যত হয়ে দাঁড়িয়েছে পদ্মফুল ও ঘাসফুলের লড়াই। কিন্তু এই একুশের নির্বাচনে কোন কোন কেন্দ্রে পাখির চোখ থাকবে রাজনৈতিক নেতা সহ রাজ্যের মানুষের ? আসুন দেখে নেওয়া যাক।
একুশের নির্বাচনের ময়দানে অবশ্যই এক অন্যতম বড় নাম শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃনমূলের প্রাক্তন যুব নেতা অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে কার্যত একুশের নির্বাচনের আগুনে ঘি ঢেলেছিলেন। সেই থেকেই একেবারে তিব্রভাবে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল দুই শিবিরের মধ্যে। নন্দীগ্রাম থেকেই উত্থান শুভেন্দু অধিকারীর। তার বিজেপি যোগদানের পরে সেখানে সভা করতে গিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যার ফলে একথা স্পষ্ট যে আসছে বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম প্রেস্টিজ ফাইট হতে চলেছে এই দুই দলের কাছেই। নির্বাচনে দুই পক্ষের কাছেই এই কেন্দ্র পাখির চোখ হয়ে থাকবে বলে ধরে নেওয়া যায়। দ্বিতীয়ত এবারে অন্য যে জেলায় বিশেষ নজর থাকতে পারে তা হল হাওড়া। হাওড়ার ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে রাজীব ব্যানার্জি তৃনমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে তার সাথে যোগ দিয়েছেন বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তি। যার ফলে এবারে ডোমজুড় কেন্দ্র ছাড়াও হাওড়ার ভোটের লড়াইয়ে অবশ্যই নজর থাকতে চলেছে রাজ্যের সাধারন মানুষের। আর নবান্ন হওয়ার পর যে ভোটের ময়দানে গঙ্গাপারের এই কেন্দ্রের গুরুত্ব বেড়েছিল তাও আলাদা করে বলে দিতে হয়না।
এই সমস্ত কেন্দ্রেই আগামী দিনে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের প্রার্থী ঘোষনা করবে। তখনই লড়াইয়ের ময়দানে কে কার মুখোমুখি হতে চলেছে তাও চলে আসবে মানুষের সামনে। সেই দিনেরও খুব বেশি দেরি নেই। সব মিলিয়ে এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের উদাহারন যে আসছে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে তা কার্যত এখন থেকেই সকলের কাছে স্পষ্ট। অর্জুনের লক্ষ্যভেদের মতোই এই দুই রাজনৈতিক দলেরও লক্ষ্য থাকবে এই দুই নির্বাচনী কেন্দ্রে জয়লাভ করা। এখন কে লক্ষ্যভেদে সফল হয় তাই দেখার বিষয়।
{ads}