খাদ্যের অভাবে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হানা দেয় মেদিনীপুর শহরে। গত বৃহস্পতিবার রাতে দলছুট একটি হাতি পার্শ্ববর্তী জঙ্গল মাদপুর এলাকা থেকে বেরিয়ে ঢুকে পড়েছিল যানজটের এই শহরে। শহরে ঢুকে পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এর প্রাঙ্গনে লুকিয়ে বসে ছিল, কয়েকজন লোক হাতিটিকে দেখতে পেয়ে হট্টগোল শুরু করে। ঠিক তারপরই নতুন অতিথির আগমনকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হ্য় দারুণ বিশৃঙ্খলা। দাঁতালটি তার রাস্তা হারিয়ে প্রায় এক মুহূর্তের মধ্যে গোটা শহরকে মাথায় করে তোলে। দাপিয়ে বেরায় এদিক থেকে সেদিক। হাতিটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সঙ্গে সঙ্গে বনদপ্তরে খবর দেয়। খবর পাওয়ার সাথে সাথে বনদপ্তরের লোক এসে উপথিত হয়। কিন্তু ততক্ষনের মধ্যে যথেষ্ট দামামা শুরু হয়ে গিয়েছিলো। বৈদ্যুতিক সংযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা জুড়ে মেদিনীপুর শহরে ঘুরে বেড়ানোর পর শহর থেকে তাড়ানোর জন্য বন্দোবস্ত করতে সার্থক হয় শহরবাসী। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার চেষ্টায় তাকে অবশেষে ঘুম পাড়ানি ওষুধ দিয়ে কাবু করা হয়। কাবু করার পর ঠিক রাত ১২টা ৩০ নাগাদ ক্রেন দিয়ে ডাম্পারে তোলা হয়। ডাম্পারে তোলার পর তাকে আড়াবাড়ি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান সিসিএফ (ওয়েস্টার্ন) অশোক প্রসাদ সিং। কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটিয়ে খুব সুন্দর ভাবে কাবু করে এবং সুরক্ষিত ভাবে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মাদপুর এলাকা থেকে কোনো কারনে হাতিটি হয় খাদ্যের সন্ধানে নতুবা দলছুট হয়ে রাস্তা ভুলে চলে আসে মেদিনীপুর শহরের একদম লোকালয়। চারিদিক ছুটছুটি করে বেড়ালেও কোনোরকম ক্ষয়ক্ষতি হতে দেখা যায়নি। হাতিটিকেও কোনোরকম আঘাত পৌঁছায়নি শহরবাসী। অনেক প্রচেষ্টায় ঘুম পাড়ানো ওষুধ দিয়ে কাবু করেছে। সাধারণত এই অঞ্চলে এমন ঘটনা এর আগে দেখতে পাওয়া যায়নি বলে দাবি সাধারণ মানুষের।
{ads}