সুদেষ্ণা মন্ডল , দক্ষিণ ২৪ পরগনা : বুধবারের পর আবারও উত্তপ্ত হল ভাঙড়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পড়লো পরপর বোমা। লাঠি-পতাকা নিয়ে বিডিও অফিসের বাইরে জমায়েতের চেষ্টা করে তৃণমূল কর্মীরা । ভিড় হটাতে পুলিশি তৎপরতাও দেখা যায় এদিন।রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন আগামী ৮ জুলাই। বৃহস্পতিবার মনোনয়নের জমা দেওয়ার শেষ দিন। সূত্রের খবর, এদিন ১.৩৮ লক্ষ মনোনয়ন জমা পড়ার কথা। সূত্রের খবর, শাসকদলেরই বহু আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়া বাকি রয়েছে। প্রথম পাঁচ দিনে মনোনয়ন জমা পড়েছে ১.৬২ লক্ষ। কিন্তু যেখানে মনোনয়ন নিয়ে রাজ্য জুড়ে এত অশান্তি, এত বাধা দেওয়ার অভিযোগ, সেই পরিস্থিতিতে এক দিনে এত মনোনয়ন জমা দেওয়া কি আদৌ সম্ভব? নাকি বাস্তবোচিত? প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাই।
{link}
এখনও পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন। এদিন উত্তপ্ত ভাঙড়ে সিপিএম প্রার্থীর মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। বিজয়গঞ্জ বাজারের কাছে বাম প্রার্থীদের আটকানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে যদিও পুলিশি মধ্যস্থতায় বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেন বাম প্রার্থীরা । মামনী মণ্ডল নামে এক বাম প্রার্থী বলেন, "তৃণমূলের লোকজন আটকাচ্ছিল। পুলিশ না থাকলে মনোনয়ন জমা দিতে পারতাম না। তবে এখানে আসার পথে হুমকিও দেওয়া হয়েছে ।" অন্যদিকে ক্যানিংয়ে বুধবার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের জেরে আক্রান্ত হয়েছিল খোদ পুলিশ কর্তা । বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেই ক্যানিং বিডিও অফিসের সামনে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেল পুলিশ কর্মীদের। ক্যানিংয়ের বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায় জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েকবার স্বমহিমায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ । ১৪৪ ধারার মধ্যে থাকা এলাকায় কোনো জমায়েত হতে দেয়নি তারা ।
{ads}